জাপানের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন সানায়ে তাকাইচি। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত তাকাইচি দীর্ঘদিন ধরে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) অন্যতম প্রভাবশালী রক্ষণশীল নেত্রী।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে তাকাইচি ১২৫ ভোট পেয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন, আর নিম্নকক্ষে ২৩৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন-যা ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে চারটি বেশি। এ ফলের মধ্য দিয়ে তিনি জাপানের ১০০ বছরেরও বেশি রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হলেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন এবং অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করা। এলডিপির প্রভাবশালী হলেও সাম্প্রতিক তহবিল কেলেঙ্কারির কারণে কোমেইতো পার্টি জোট থেকে সরে দাঁড়ায়, ফলে তাকাইচি সোমবার রাতে জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি)-এর সঙ্গে নতুন জোট গঠন করেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর তাকাইচি ঘোষণা দেন, “আমরা জাপানের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব এবং দেশকে একটি আত্মনির্ভর, আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলব।” আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্ধারিত সফরকে সামনে রেখে তাকাইচির জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হতে যাচ্ছে।
কীওয়ার্ডস: সানায়ে তাকাইচি, জাপান প্রধানমন্ত্রী, নারী নেতৃত্ব