রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছয় ঘণ্টা পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল প্রবল বাতাস।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“আমাদের ইউনিট দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। তবে খোলা জায়গায় প্রচণ্ড বাতাস থাকায় অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা আগুনের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। এই কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।”
তিনি জানান, রাত **৯টা ১৮ মিনিটে** আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নির্বাপণ ও ঠান্ডা করার কাজ করছেন। ডিজি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। এছাড়া আনসার বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
ঘটনাস্থল সম্পর্কে তিনি বলেন, “যে এলাকায় আগুন লেগেছে, সেটি মূলত আমদানি কার্গো রাখার স্থান। আনুমানিক ৪০০ গজজুড়ে খোলা ও বদ্ধ জায়গায় পণ্যসামগ্রী সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে কিছু অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।”
আগুনের উৎস সম্পর্কে তিনি জানান, “এ মুহূর্তে আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
অন্যদিকে, আগুন লাগার কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা **ছয় ঘণ্টার জন্য বন্ধ** ছিল। রাত **৯টা ৬ মিনিটে** দুবাই থেকে আগত একটি ফ্লাইট অবতরণের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কার্গো এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় এখন নিরাপত্তা জোরদার ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কীওয়ার্ডস:
শাহজালাল বিমানবন্দর আগুন, কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার সার্ভিস ডিজি, বিমানবন্দর ফ্লাইট বন্ধ, ঢাকা অগ্নিকাণ্ড