রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার পর এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টিরও বেশি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএইএবি) সভাপতি কবির আহমেদ জানিয়েছেন, প্রাথমিক হিসেবে এ ঘটনায় বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কার্গো ভিলেজের এই অংশে মূলত আমদানি পণ্য ও মূল্যবান চালান সংরক্ষিত ছিল বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে সঠিক কারণ নির্ধারণে তদন্ত চলছে।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,“হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেশের ভাবমর্যাদার ওপর গভীর আঘাত হেনেছে। এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত নাশকতা-সে বিষয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর মিরপুর, চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা এবং এখন বিমানবন্দরে পরপর আগুন লাগার ঘটনা প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ। প্রয়োজন হলে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ডা. শফিকুর রহমান ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সব সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। পাশাপাশি আতঙ্কিত যাত্রী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে, তবে কার্গো এলাকায় প্রবেশ আপাতত সীমিত রাখা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ চিত্র জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কীওয়ার্ডস:
শাহজালাল বিমানবন্দর আগুন, কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড, ঢাকা বিমানবন্দর ক্ষয়ক্ষতি, জামায়াত আমির প্রতিক্রিয়া, বিমানবন্দর দুর্ঘটনা