গঙ্গা মেঘনা উৎস খুঁজেছি, সময় প্রহার করে যে
সূর্যের তাপে হিমবাহ গলে, প্রকৃতি আপন গরজে,
নির্ভার জলে জলকেলি করে, অবাক রাতের তারারা !
ধমনী বাহিত লোহিত কণিকা, নদীকে রাঙালো কাহারা ?
জাতকে চিনি না জাতিকে চিনেছি, লজ্জিত মানবতা,
ধর্ম বুঝি না ! মানুষকে জানি, স্পর্ধিত নাশকতা !
তিনভাগ জলে ছোট্ট পৃথিবী, ডুবে যায় পাপ সলিলে,
ওই আকাশে তোমার সূর্য, ওই জমিতে তোমার জ্যোৎস্না ! লেখা আছে কোন দলিলে ?
এক পৃথিবী এক সূর্য, এক তারাদের দেশে
নদী কেন আজ কাঁটা তার হবে, খলনায়কের বেশে !
চাঁদ তারাদের সাক্ষী রেখে যে, এক পৃথিবী নির্মাণ
এক ঈশ্বর, একটাই দেশ ! নদী বুকে কেন অভিমান ?
ধমনী বাহিত লোহিত কণিকা, দুরন্ত স্রোতে ছোটে,
পরিযায়ী পাখি ভালোবাসা খুঁটে, নিয়ে আসে ঠোঁটে ঠোঁটে !
এক পৃথিবী ভালোবাসা আছে, খুঁজে দেখো মন গহীনে,
এক ঈশ্বর এক পৃথিবী, ধর্মের চিতা আগুনে।
এইটুকু বুঝি ভুখা পেট যার, মগজটা ভোঁতা থাকে যে ,
ধর্মের বড়ি খাইয়েছো তাকে, রক্তহোলির আবেগে !
সবার উপর মানব ধর্ম, মানুষের ব্যথা জানো
পেট ভরাবার সমানাধিকার, নিশ্চয়ই এটা মানো !
নদী রেষারেষি, দেশ ভাগাভাগি, ক্ষমতায়নের দর্প,
আসবে সময় রাজার মতো, অহংটা হবে খর্ব।