যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে অবশেষে গাজা সীমান্ত এবং মানবিক সহায়তা পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আগের নির্দেশনা পরিবর্তন করে গাজায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর অনুমতি দেয়।
এর আগে রাফাহ সীমান্তে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে এবং সব ধরনের সীমান্ত ও মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপের পর দেশটি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ৯ অক্টোবর স্বাক্ষরিত শার্ম আল শেখ চুক্তির শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতির নিয়ম পুনরায় কার্যকর করছে। ফলে ২০ অক্টোবর থেকে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হবে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, একই দিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার পূর্বাঞ্চল, খান ইউনিস ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। বিশেষ করে নুসেইরাতের আল-মাহকামা সড়কে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করছে এবং ত্রাণসহ বন্দি বিনিময়ের শর্ত মানছে না। তারা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলকে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে। এদিকে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল, সিনিয়র নেতা খালিল আল-হাইয়্যার নেতৃত্বে, কায়রোতে পৌঁছেছে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে।
কীওয়ার্ডস:
গাজা যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েল মানবিক সহায়তা, হামাস কায়রো আলোচনা