গাজায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি একাধিকবার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সংগঠনটির দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরাইলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, যার অধিকাংশ শিকার নারী, শিশু ও প্রবীণ। নিহতদের মধ্যে আবু শাবান পরিবারের সাত শিশু ও দুই নারীসহ পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে এখনো গাজায় জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, নির্মাণসামগ্রী ও হাসপাতালের উপকরণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এছাড়া নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তিতেও দেরি করছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
সংগঠনটি দাবি করে, ইসরাইলি বাহিনী সম্প্রতি যেসব ১৫০টি মরদেহ ফেরত দিয়েছে, তার কিছুতে নির্যাতনের চিহ্ন ও হাতকড়ার দাগ পাওয়া গেছে। হামাস বলছে, এই ধরনের আচরণ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে বিপন্ন করছে এবং আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে।
তবে হামাস জানিয়েছে, তারা এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি অটল আছে এবং মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে চুক্তির সব শর্ত মেনে চলতে বাধ্য করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি হয়। প্রথম ধাপে বন্দি বিনিময় এবং পরবর্তী ধাপে গাজা পুনর্গঠন ও নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

কীওয়ার্ডস:
গাজা যুদ্ধবিরতি, হামাস ইসরাইল সংঘাত, ফিলিস্তিন নিহত