শুক্রবার, অক্টোবর ১০, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে প্রাথমিক সমঝোতা, ট্রাম্পের দাবি শান্তির প্রথম পদক্ষেপ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • ২০২৫-১০-০৯ ০৯:৩৯:৪৪
ফাইল ছবি

গাজা যুদ্ধের অবসান ও স্থায়ী শান্তির পথে বড় অগ্রগতি এসেছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষ্যমতে, শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। খবরটি নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ট্রাম্প লিখেছেন, “এই শান্তি চুক্তির অর্থ হলো খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করবে। এটি শক্তিশালী, টেকসই ও চিরস্থায়ী শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ।”
তিনি আরও জানান, চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে সপ্তাহান্তে তিনি মিসর সফরে যেতে পারেন। আগামী শনিবারের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিসরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কক্ষে প্রবেশ করে ট্রাম্পের হাতে একটি চিরকুট দেন। সেটি পড়ার পরই ট্রাম্প উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা মধ্যপ্রাচ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। হয়তো এখনই আমাকে যেতে হবে কিছু জটিল বিষয় সমাধানে।”
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী শুক্রবার সকালে ওয়াল্টার রিড মেডিকেল সেন্টারে নির্ধারিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেবেন, এরপর তিনি মিসরে যেতে পারেন।
গত মাসে গাজা সংকট নিরসনে ট্রাম্প ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, যা ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে। সেই পরিকল্পনার আলোচনাই চলছে মিসরের পর্যটন নগরী শারম আল শেখে, যেখানে বুধবার ছিল আলোচনার তৃতীয় দিন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীরা অংশ নেন।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি এবং তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলে ১,২১৯ জন নিহত হন এবং ২৫১ জন জিম্মি হন, যাদের মধ্যে ৪৭ জন এখনো বন্দি। ইসরায়েলি দাবি অনুযায়ী, এদের মধ্যে ২৫ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত দুই বছরে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৬৭ হাজার ১৭৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ হাজার ১৭৯ জন শিশু।

কীওয়ার্ডস:
গাজা যুদ্ধবিরতি, ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা, ইসরায়েল হামাস সমঝোতা, মিসর আলোচনা, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি


এ জাতীয় আরো খবর