তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হামাস প্রমাণ করেছে যে তারা শান্তির পক্ষে। বুধবার (৮ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণে এরদোগান বলেন, শারম আল শেখে চলমান শান্তি আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আলোচনার ফল ইতিবাচক হবে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাধান আসবে।
এরদোগান বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব ইসরাইলের পক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট হলেও হামাস যে শান্তি আলোচনায় আগ্রহী, তা এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। তার ভাষায়, “শান্তি কখনো একতরফা হতে পারে না। শুধু ফিলিস্তিনিদের কাঁধে শান্তির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় ও অবাস্তব। স্থায়ী শান্তির জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক সংলাপ ও অস্ত্রবিরতি।”
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসনই শান্তির প্রধান অন্তরায়। তিনি ইসরাইলকে নাৎসিদের চেয়েও নৃশংস বলে অভিযুক্ত করেন। এরদোগানের মতে, গত দুই বছরে ইসরাইল এমনসব হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, যা ইতিহাসে অভূতপূর্ব।
এদিকে আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজারবাইজান সফর শেষে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে অনুরোধ করেছিলেন হামাসকে শান্তি পরিকল্পনায় যুক্ত করতে। তিনি বলেন, “আমাদের বর্তমান অগ্রাধিকার তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করা। হামাস ইতিমধ্যেই আলোচনার জন্য প্রস্তুত।”
এরদোগান পুনরায় উল্লেখ করেন, তুরস্ক সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তার ভাষায়, “ফিলিস্তিনের অধিকার রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নিপীড়িত জনগণের পাশে থাকা তুরস্কের নীতিগত অবস্থান, এবং আমরা সেই অবস্থান থেকে কখনো সরে যাইনি।”
কীওয়ার্ডস:
এরদোগান,হামাস শান্তি প্রস্তাব, ইসরাইল আগ্রাসন, ফিলিস্তিন ইস্যু, তুরস্ক সংবাদ