এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, অস্ট্রেলিয়ার রিচার্ড রবসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওমর এম. ইয়াগি। ধাতু-জৈব কাঠামো (Metal-Organic Frameworks বা MOFs) উদ্ভাবনের অসামান্য অবদানের জন্য যৌথভাবে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস আনুষ্ঠানিকভাবে রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
ধাতু-জৈব কাঠামো এমন এক নতুন ধরনের আণবিক বিন্যাস, যার ভেতর দিয়ে গ্যাস ও রাসায়নিক পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের পরিবেশবান্ধব গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এটি ব্যবহার করে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ, কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ, বিষাক্ত গ্যাস সংরক্ষণ কিংবা জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়া সহজ করা সম্ভব।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান হেইনার লিঙ্কে বলেন, এই আবিষ্কার বিজ্ঞানে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এখন বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উপযোগী উপকরণ নিজেরাই নকশা করতে পারছেন, যা ভবিষ্যতে মানবজাতির বড় কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করবে।
নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় অনুযায়ী, সুসুমু কিতাগাওয়া (জন্ম ১৯৫১, কিয়োটো, জাপান) কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক; রিচার্ড রবসন (জন্ম ১৯৩৭, যুক্তরাজ্য) বর্তমানে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন; এবং ওমর এম. ইয়াগি (জন্ম ১৯৬৫, জর্ডান) ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি জানিয়েছে, তাদের এই উদ্ভাবন ভবিষ্যতে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বিশুদ্ধ পানি আহরণ এবং জ্বালানি দক্ষতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই পুরস্কারের অংশ হিসেবে বিজয়ীরা পাবেন নোবেল মেডেল, সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা-বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
কীওয়ার্ডস:
রসায়নে নোবেল ২০২৫, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, ধাতু-জৈব কাঠামো, সুসুমু কিতাগাওয়া, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি