লস অ্যাঞ্জেলেসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা টানা ষষ্ঠ দিনের মতো দুটি স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে আসায় রবিবার (১২ জানুয়ারি) বাড়তি উদ্যমে কাজ করছেন তারা। তবে আবহাওয়া অধিদফতর সতর্ক করে বলেছে, আবারও দমকা বাতাসের প্রবাহ শুরু হতে পারে যার ফলে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে যাবে আগুন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ক্যারিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম বলেছেন, এটি মার্কিন ইতিহাসের সম্ভবত ভয়াবহতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দাবানলে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ মানুষ মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া, কয়েক হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে আর লাখ খানেক মানুষ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আগুন ছড়িয়ে পড়া এলাকা পুরো ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ধনী-গরীব সবার বাড়িই ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপারভাইজর লিন্ডসি হোরভাথ বলেছেন, অকল্পনীয় আতঙ্ক ও বেদনার আরেকটি রাত পার করছে লস অ্যাঞ্জেলেসের মানুষ।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মরুভূমির দিক থেকে আসা শুষ্ক সান্তা অ্যানা বাতাস প্রায় ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল বাতাসের শক্তি কমে আসায় কিছুটা হাফ ছেড়ে বাঁচেন দমকলকর্মীরা।
তীব্র বাতাসের কারণে অনেক স্থানে আগুনের ফুলকি তিন কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছিল। বাতাস কিছুটা ধরে আসার সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।