তিনিই তো সেই কবি
ধানের খোসার মধ্যে ভরে দেন গাঢ় সাদা মদালস দুধ
কার্তিকের বেগানা বাতাসে
অচিরে যা ফুরফুরে চাল হয়ে ওঠে।
কিশোরীর বুকে কাঁচা সিঁদুরে গুটির
রীতি মেনে
গাভিন ধানের থোড়ে শিউরে ওঠে ঝিমানন্দ ঢেউ।
তিনিই তো সেই কবি
জাদু কাঠি কাতরে ওঠে ধ্যান ভাঙা প্রেমে
সূফীর গিলাফে নাচে রাতভর রঙিন পেখম
আকাশের আশির্বাদ উপচে পড়ে মুক্ত জলাধারে
মা-পাখি গলায় তোলে জল জলা জঙ্গলের
সুচয়িত অজীর্ণ আধার
সূচিসূক্ষ্ম মননের স্বাদু অন্নদানা
গুঁজে দেবে বলে আর্ত শাবকের অধৈর্য হায়ে।
তিনিই তো সেই কবি
যখন শ্রান্ত চাষী পিঁড়ি পেতে পট কাটে অলস দাওয়ায়
গানের তীক্ষ্ণ মীড়ে দেশী লোকাচার, দেশী বুলি
পাখি ও কাকলী
তুলে দেন হাল বাওয়া গাতকের ঠোঁটে।
সে সুর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে
দোতারার রজঃঋদ্ধ দেহাতী শরীরে
আয়নিত মেঘের নিয়মে
চোখ রাঙে ঝড়ের বাতাস
বজ্রচেরা রূপকের মনোজ্ঞ বুটিকে
মলিন পঙ্কে ফোটে বিশ্বজোড়া রক্ত কমল।