রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৫০০ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও নিহত বা নিখোঁজের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ঘরহারা বস্তিবাসীরা রাত কাটাচ্ছেন মহাখালীর খোলা মাঠে, যেখানে তাঁরা অস্থায়ীভাবে ত্রিপল ও পলিথিন টানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেন্টেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের প্রথমদিকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বস্তির ভেতরে যত্রতত্র বৈদ্যুতিক তার ও প্রতিটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, যদিও কয়েকজন হালকা আহত হতে পারেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে, যারা পুরো ঘটনা পর্যালোচনা করবে।
আগুন নেভাতে হেলিকপ্টারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য সম্পর্কে তিনি জানান, হেলিকপ্টার ব্যবহার করলে বাতাসের কারণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডে স্থলভিত্তিক প্রচেষ্টাই সবচেয়ে কার্যকর।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কীওয়ার্ডঃ কড়াইল অগ্নিকাণ্ড,ফায়ার সার্ভিস,বস্তিবাসীর ক্ষতি