বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৫

তাড়াইলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা খুন, হত্যাকারী একজন আটক

  • ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ :
  • ২০২৫-০১-১৪ ২২:১৯:১৬

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দলীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন (৫৫) নিহত হওয়ার ঘঠনায় হত্যাকারী রুবেল (৩০)কে আটক করেছে পুলিশ। 
আটক হত্যাকারী রুবেল রাউতি ইউনিয়নের বানাইল মোড়লবাড়ীর মো: গিয়াস উদ্দিনের দ্বিতীয় ছেলে। 
তাড়াইল থানা পুলিশ গত রাতে অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ থেকে আটক করে রুবেলকে।
তারপর আসামীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। 
মঙ্গলবার  ১৪ জানুয়ারি  বিকেলে নিহতের ভাইয়ের বউ অজিফা খাতুন বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাতে আটক রুবেল ৫ নং এজাহার নামীয় আসামি। 
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৫ জানুয়ারি তাড়াইল উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাতে সভাপতি প্রার্থী আলহাজ্ব সারওয়ার হোসেন লিটনের বানাইল বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মো: গিয়াস উদ্দিন । 
সভার সভাপতিকে কেন্দ্র করে সাইদুজ্জামান মোস্তফা গ্রুপের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিহত আবুল হাসান রতন কিছু মন্তব্য করলে তাদের মধ্যে কিছুটা বাগবিতণ্ডা হয়। 
সেই সূত্র ধরে রবিবার সকালে মো: গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও নাতিরা দলবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্রে আবুল হাসান রতনের উপর আক্রমণ চালায়, এতে আহত হয় অনেকেই। আহতদের মধ্যে আবুল হাসান রতনের অবস্থা গুরুতর হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
পরে সোমবার বাদ আসর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ হাজারো মুসল্লি অংশ গ্রহণে স্থানীয় বানাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে রতনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা বিএনপি। 
 তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির আহম্মদ বলেন, রতন হত্যা ঘটনায় আজ মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রতিপক্ষ গিয়াসউদ্দিনের ছেলে রুবেলকে গ্র্রেফতার করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে এজাহার নামীয় ৫নং আসামি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 


এ জাতীয় আরো খবর