সে জানেনা জইমুদ্দিন তারে কতো লাইক করে---কতো কমেন্টস করে কিন্তু ফেউয়ের দলের ভিড়ে আস্তে আস্তে সে পিছিয়ে পরে পাগলপনাও বেড়ে যায় তার।
ফকিন্নি ফেউ পোস্ট পরলে শালিকের মতো খুঁটে খুঁটে খায়---কতো ঢঙের ঢিল মারে, টোকা দেয় সে ওতেই গদোগদো; তার উত্তরে স্নান-খাওয়া বাদে রিপ্লেকাজে ব্যস্ত।
জইমুদ্দিন আর তার পাত্তাই পায়না। জইমুদ্দিনের কমেন্টেসর কোন উত্তর আসেনা বিগত একবছরে!
হতাশ জইমুদ্দিনও একদিন তার বিকল্প জানেমন পেয়ে যায়। জইমুদ্দিনের সাথে জানেমনের মন দেয়া-নেওয়া; জইমুদ্দিনের প্রাক্তন প্রেমিকা মেনে নিতে পারেনা, আবার ফিরে আসতে চায় তার কাছে--- ততোদিনে জইমুদ্দিন মধুর মিথ্যে, প্রচুর প্রতারণা আর হালকা ইংরেজিও কইতে শুরু করেছে।
সুতরাং তার কোন সমস্যাই হয়না। জইমুদ্দিন এক সাথে সাবেক, বর্তমান চালিযে যায়---চলে যায় দিনকাল হালবিহানে। ফাঁক পেলেই গুগুল ইঞ্জিনে সার্চ মেরে দেশি-বিদেশি নায়িকাদের ইন্সটাগ্রামেও ঢুকে পরে!
আরো কতো গোপন গহিনে ইদানীং তার প্রবেশ ও প্রস্থান।
বোকা ভেবে যে জইমুদ্দিনরে এতোদিন সে হেলাফেলা করেছে আজ নিজেই হেলার যাত্রী---তার হাল সিএস পর্চার মতোই পুরোনো---শুধুই প্রাক্তন!
হতাশ চিত্তে জইমুদ্দিনের সাবেক প্রেমিকা ফেসবুকিংয়ে নাই হয়ে গেলো একবছর!
ফিরে আসে, আশা; বৈঠা হাতে---
জইমুদ্দিন ততোদিনে নামপত্তন করে, নাম রেখেছে; পৃথ্বি জাইম জয়...!
তাতে নাম, যশ, খ্যাতি, প্রভাব ও পয়সাও অঢেল আর তার মতো কতো প্রেমিকা সিকিউরিটি অফিসার হয়ে গেছে তার।
অনেক আশা মালশা হাতে; সেই পুরোনো স্মৃতির নদীতে ঝাঁপ দিলো কিন্তু সেখানে কচুগাছ, তিতপুঁটির খলবলি ছাড়া কিছুই পেলোনা---অতএব এ যাত্রায় তার আত্মহননের কর্মসমাধা হলোনা। জইমুদ্দিন স্বপ্ন বুকে নিয়ে সেও পাল্লার প্রতিভায়, মক্কেলদের দোকানে দোকানে টোকা মারতে থাকলো! জইমুদ্দিন তার খবর রাখেনা---সময়ও নেই তার...!
জইমুদ্দিনরা হরকায় না, হরকায় জইমুদ্দিনের প্রেমিকারা; না'বুঝ, সোবুজ বালিকারা---তাদের প্রতিভা নিয়ে খেলবার মতো বহু জইমুদ্দিন জয়ভাগা, হাটে-বাজারে মালসা হাতে বসে আছে!