একটি সুন্দরী মেয়ে যখন ধীরে ধীরে তার এই সৌন্দর্য্য সম্বন্ধে সচেতন হয়, তখন তার মধ্যে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। সে যখন সাবালিকা হয়, তখন সাধারণত তার ব্রেন থেকে মূল ফিমেল হরমোন ইস্ট্রোজেনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এবং এই বৃদ্ধির পরিমাণ তার সৌন্দর্য্যের উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে যেসব মেয়ে নিজেদের অত্যধিক সুন্দরী বলে মনে করে, তাদের ক্ষেত্রে এই হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এবং এক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের প্রভাব দেখা যায় খুব সরাসরি। তার শরীর-স্বাস্থ্য আরও সুগঠিত হয়ে ওঠে, নারীসুলভ আচরণ বহুমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। যে কারণে সমাজের চোখে, তথাপি তার চোখে সে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। তখন প্রায়ই বিভিন্নজনকে বলতে শোনা যায়, “যতোই দিন যাচ্ছে মেয়েটা আরও সুন্দর হয়ে উঠছে!”
পুরো ব্যাপারটাকে ছক আকারে এভাবে দেখানো যায়-
ইডিপাস কমপ্লেক্স--> নারীত্বের বোধ--> সৌন্দর্য্যের বোধ-->
১. আমি সুন্দরী
২. আমি সুন্দরী নই
আমি সুন্দরী--> পরিবারের স্তুতি--> আমি বেশ সুন্দরী (ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ বৃদ্ধি)--> নারীসুলভ শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি--> সমাজের স্তুতি--> আমি খুব সুন্দরী (ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ বৃদ্ধি)--> নারীসুলভ শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি--> ছেলেদের স্তুতি--> আমি দারুণ সুন্দরী (ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ বৃদ্ধি)--> নারীসুলভ শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি
এই চক্র থেকে দেখা যায়, সাধারণত ‘আমি সুন্দরী’ বোধটাই মেয়েদের আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার মূল কারণ, যা অনবরত প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এই বোধের কারণেই তাদের সৌন্দর্য্য পরিপূর্ণতা পায়, ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে নারীসুলভ আচরণ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় যা ছেলেদের আরও বেশি আকৃষ্ট করে।-ইন্টারনেট থেকে।