খন্দকার বাড়ি রোড স্বীকৃতিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ প্রত্যাহার
- ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ :
-
২০২৫-০২-১১ ১৯:০৬:৩৯
- Print
লতিবাবাদ ইউনিয়নের খন্দকার বাড়ি রোড স্বীকৃতিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় বিগত ২০ জানুয়ারী এলজিইডি কতৃক বাস্তবায়নাধীন কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের লতিবাবাদ ইউনিয়নের অন্তর্গত কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের পার্শ্বে মুসলিম পাড়া হতে কাগজীকাটা রাস্তা পর্যন্ত এলজিইডি পাকা রাস্তা নির্মান হচ্ছে।
নির্মান কাজের পূর্বে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর রেকর্ডভূক্ত জায়গা ছাড়াও লতিবাবাদ মৌজায় ১১১ নং খতিয়ান ভুক্ত বিভিন্ন দাগে এম এ আকবর খন্দকার ও তার বড় বোন ফাতেমা খন্দকারের মালিকানাধীন এক কোটি টাকার জায়গা-সম্পত্তি সার্ভে করে নির্মান কাজ শুরু করে। তারই প্রেক্ষিতে দুই ভাই-বোন তাদের কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় তথা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে মৌলিক অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ স্বরূপ গত ২ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ঠ দ্প্তরে পৃথক পৃথক লিখত অভিযোগ ও প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় অনুলিপি প্রদান করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়ারি এলজিইডি'র কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাকিব উল হাফিজ ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গায় নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেেশ প্রদান করেন। এহেন প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রাজ্জাক, শামসুদ্দিন মেম্বার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি সমন্ময়ে এলাকার সাধারণ জনগণ খন্দকার বাড়ি রোড নাম করনের স্বীকৃতিতে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য বিনয়ের সাথে সুপারিশ করলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দাখিলকৃত অভিযোগটি প্রত্যহার করে।
উল্লেখ্য বিগত দিনে আকবর খন্দকারের পিতা মুসলিম পাড়া জামে মসজিদের জন্য ১১১ খতিয়ানে ১৭ শতাংশ ও চাচা লতিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫২ শতাংশ পূর্ব মুসিলম পাড়া সমজিদে জন্য ৯ শতাংশ জমি দান করেন।
এ দিকে জেলা জামাতের আমীর অধ্যক্ষ মোঃ রমজান আলী ও জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ শরিফুল ইসলাম মানব কল্যাণে এমন জনহিতৈষী কাজে কোটি টাকার সম্পত্তি উৎসর্গকে মহতি উদ্যোগ বলে মনে করেন। উদিয়মান তরুন সমাজ কর্মী আশিকুজ্জামান আশিক যার নিরলস প্রচেষ্টায় এলজিইডি সর্বোচ্চ সেক্টর থেকে কাজটি বের হয়ে আসছে তিনি বলেন ", সাধারণ জনগনের বিনীত সুপারিশ উপেক্ষা না করে কোটি টাকার সম্পাত্তি মানব কল্যাণে উৎসর্গ করায় আমি অভিভূত।