কার জাতিকুল কত উচ্চ --- সে কথা নিয়েই
তুমুল তর্ক চলছিলো ঘুঁজি শুঁড়িখানায়
খিস্তিখেউড়ে সমান পারদর্শী তারা
পেটে মাল পড়লে তো দুজনেই রাজা বনে যায় ----
লালবর্ণ চোখ কসাইয়ের, হাতেও রক্তের গন্ধ
কত সহজেই সিনা ঘাড় মাথা নিখুঁত ব্যবচ্ছেদ করে
হাত কাঁপে না, অনুভূতিহীন মানবিক বোধে
তবুও আপন কর্মে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার বটে।
চামারও কম যায় কীসে !
চামড়ার গন্ধ শুঁকে পায় পাদুকা-পুরাণ
খালি পা দেখলেই পরিমাপ করে চর্ম-চোখে,
পোষা কুকুরটাও সন্তষ্ট থাকে ছাঁটের লোভে
ভাগাড়ের শকুনও সন্ত্রস্ত তার চাকুর চকমকিতে।
আপনাপন কর্মে এরা ত্যাঁদড় নীতিজ্ঞ
পূতপবিত্র, হক ও হালাল ভাবে রুটিরুজিকে,
শানিত চাকু-ছুরির সাদৃশ্যের গুণে হোক
কিংবা নেশাভঙ্গের কারণেই হোক
তর্ক শেষে ওরা ঐকমত্য হয়
তাদের পেশাই মহান, সর্বোত্তম মানুষের সেবায়।
অনতিদূরে এক ডোম মুচকি মুচকি হাসছিলো
সে হাসি অবজ্ঞা ও ঘৃণার --- কিছুটা করুণার।