স্বপ্ন উড়ে ইচ্ছে ফুঁড়ে
জীবনপুরের রাজকন্যা,
কায়ার ভীড়ে ছায়ার নীড়ে
আলো ছায়ার বন্যা।
শ্যামল কোমল কুসুম পেলব
ওঠা বসা চলন ফিরন,
বেদন মাঝে সহনের মহোৎসব
আঁধার ফাঁকে এক টুকরো কিরণ।
ঝড়ের তোড়ে ফুঁ এর জোরে
উড়ছে তো উড়ছে ভিটেমাটি,
খাবলে কাদা মুঠো থাবায় উঠোন ভরে
সকাল সাঁঝে জ্বলছে প্রদীপ খাঁটি।
মুগ্ধ মনে মগ্ন ভাবুক রেশে
হাতিঘোড়া পোষন শেষে পুষে মায়াছানা,
হৃদয় কণা স্বপ্ন বোনা মমতার আরশে
প্রকৃতি ছুঁয়ে অনিন্দ্য নীলিমার জানাশোনা।
মন্দ বাটে হীন ধামের টানাপোড়েনে
বারোমাসী খোয়াবনামা জ্বলে ছাড়খার,
পুড়ছে ভিতর পুড়ছে বাহির তামাশা বরণে
সঙ লগনের নিরীহ প্রজা ধুঁকে বেশুমার।
দুই চক্ষুর সাদাকালোয় রংধনু বেঁধে
ক্ষুব্ধযৌবন খ্যাপা ঘোড়ার টানে লাগাম,
চাঁদের দরে জোছনা কিনে ফান্দে জীবন ধাঁধে
মার লগী টানো বৈঠা তুলে নৌকার বাদাম।
ফাঁসি কাঠের চৌকাঠ রাজকন্যার
খিলান তপ্ত চিতার ঘের,
পাঁজর বাঁকে স্রোতের মাতঙ্গী বন্যা
সাতসমুদ্র তেরো নদী বেড়।