মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৪

৭দিন বন্ধের পর পূণরায় কর্মচঞ্চল সোনামসজিদ স্থলবন্দর

  • জাকির হোসেন পিংকু,
  • ২০২৪-০৯-২১ ২১:৫০:১০

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
বন্দর ট্যারিফ বা মাশুল সংক্রান্ত জটিলতায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর টানা ৭দিন বন্ধ থাকার পর কর্মচঞ্চল হয়েছে। শনিবার(২১ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ভারত থেকে পণ্য আমদানী ও ভারতে রপ্তানী। জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় সং¤িøস্ট সকল পক্ষের মধ্যে অব্যহত আলোচনার পর গত শুক্রবার(২০ সেপ্টেম্বর) বন্দর চালুর সিদ্ধান্ত হয়। বন্দর সংশ্লিস্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত রবিবার(১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে বন্দরে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ে ক্ষতি হওয়াসহ দেশের ভোগ্যপণ্য,কাঁচামাল,শিল্পপণ্য, উৎপাদন,নির্মাণ ও উন্নয়ন সেক্টরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে শুরু করে। বেকার হয়ে পড়ে বন্দরের হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী।
বন্দর বন্ধের মূল করাণ ছিল আমদানী পাথরের শুল্ক। টন প্রতি আমদানী পাথরের লেবার হ্যান্ডলিং বাবদ বন্দর ট্যারিফের মধ্যে ১৩৯.৩৮ পয়সা  আদায় করা হত। এর মধ্যে ৪৯ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা করত বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারটের প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড। পানামার প্রাপ্য ৫১ শতাংশের মধ্যে তারা আবার আমদানীকারকদের ৫২ টাকা ফেরৎ দিত। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু পাথরের লোবার হ্যান্ডলিং পনামা করে না কাজেই তারা এখন ৫২ টাকার স্থলে ৬১ টাকা ফেরৎ দিবে। আমদানীকারকদের ফেরৎ পাওয়া এই অতিরিক্ত ৯টাকা আমদানীকারকেরা লেবার হ্যান্ডলিং বাবদ ব্যয় করবে। এতে টন প্রতি প্রায় সমপরিমান ভ্যাটও (৯টাকা ১৫ পয়সা) আর দিতে হবে না আমদানীকারকদের। ফলে গড়ে পাথরের ট্রাক প্রতি খরচ কমবে প্রায় হাজার টাকা মত।
সোনামসজিদ আমদানী রপ্তানীকারক গ্রæপ  সভাপতি কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, আমদানীকারকরা বন্দর শুল্ক দিতে চান। কিন্তু পাথর বাবাদ  লেবার চার্জ দিতে চান না। কারন এই সেবা তারা নেন না। ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ট্যারিফ আদায় তৎকালীন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিষয়টির মৌখিক একটি সমঝোতার ভিত্তিতে চালু ছিল। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে আবারও পাথরের লেবার চার্জ দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বহু আলোচনায় ফল না হওয়ায় বন্দর বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তারা। তবে সংশ্লিস্ট পানামা বন্দর কর্তৃপক্ষ,জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, কাষ্টমস,বিজিবি,সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন,লেবার সমিতি,রপ্তানীকারক সহ সকল পক্ষের সাথে অব্যহত আলোচনার ফলে বন্দও চালু হয়েছে। আলোচনায় আরও কিছু অনিয়মেরও প্রতিকার হয়েছে।
পনামা বন্দর কর্তৃপক্ষের জিএম বেলাল হোসেন বলেন,বন্দর সরকারি প্রতিষ্ঠান। তারা বন্দর উন্নয়ন, নিয়মানুযাায়ী ট্যারিফ আদায় করে সরকারকে দেয়া সহ বন্দরের সকল কাজ করেন। সংশ্লিস্ট সকল পক্ষের সাথে সমঝোতায় ও আলোচনায় নিজেদের অংশ থেকে পাথর বাদ আদায় অর্থেও পরিমান কমিয়েছে পানামা। ফলে বন্দর পূণরায় চালু হয়েছেজানা গেছে শনিবার বন্ধের পর চালুর দিন বন্দরে ২৭৫টি ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করে। এর মধ্যে ১২৭টি ছিল পাথরের, ৩৭টি ট্রাকে ৯৪৮ টন পেঁয়াজ ও ১টি ট্রাকে ২টন কাঁচামরিচ। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরে শেষ ৪১১ ট্রাক ভারতীয় পণ্য আমদানী হয় যার ২৮৯টি ছিল পাথরের ।


এ জাতীয় আরো খবর