শুক্রবার, অক্টোবর ১০, ২০২৫

হুমায়ূন-শাওনের অতীত স্মৃতি খুললেন শাওন; সামাজিক যোগাযোগে আলোচনার ঝড়

  • বিনোদন ডেক্স
  • ২০২৫-১০-০৬ ২০:০৯:২৬
ছবি: সংগৃহীত।

বিগত দিনগুলোতে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান ও পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত তার কথাগুলোকে ঘিরে নতুন করে সমালোচনা-আলোচনার মধ্যে পড়েছেন হুমায়ূন সাহেবের পরিবার। সেই প্রেক্ষাপটেই রবিবার (৬ অক্টোবর) হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার ফেসবুক পেজে লেখকের আত্মজীবনীমূলক রচনার এক বিস্ময়ে ভরা অংশ শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে নজর কাড়েছেন।
সংক্ষিপ্ত খবরে বলা হচ্ছে-শাওন তার পোস্টে তুলে এনেছেন হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের কষ্ট, অসুস্থতা ও নিন্দার মুখে পরিবারকে কিভাবে সান্ত্বনা দিয়েছেন তা; পাশাপাশি তিনি সেখানে ফেসবুকের বিদ্রূপপূর্ণ মন্তব্য ও হিংস্র কটুক্তির কথা তুলে ধরেছেন, যা শাওনকে একেবারেই ভেঙে ফেলেছিল। তাঁর শেয়ার করা অংশে দেখা যায়, কিভাবে অনলাইনে প্রকাশিত এক নীর্ষপাপী কমেন্ট শাওনকে আঘাত করেছিল এবং হুমায়ূন সেই সময় স্ত্রীর পাশে থেকে ধৈর্য ও মানবিকতার উদাহরণ দিয়েছেন।
শাওনের পোস্টের মূল অংশগুলো:
শাওন খেয়াল করেন, তিনি ফেসবুকের একটি মন্তব্য পড়ে কাঁদছেন; কেউ লিখেছিল, “তোমার উচিত শিক্ষা হয়েছে, তোমার স্বামীকে ক্যানসার দিয়ে আল্লাহ তোমাকে শিক্ষা দিলেন।” এমন ন্যাক্কারজনক মন্তব্যে শাওন ভেঙে পড়েন।
হুমায়ূন আহমেদ তখন স্ত্রীর মনোবল বাড়াতে নানা কথা বলেন, বলে দেন-“পৃথিবীতে অনেক মানসিক অসুস্থ মানুষ আছে, তাদের নিয়ে চিন্তা করিস না; তোমার পাশে শত শত মানুষ আছে।”
লেখক এক যুবকের অভদ্র আচরণের কথা নিজের বইয়ে তুলে এনেছেন; সেই যুবক সরাসরি বলেছিল, “আমি চাই আপনি শিগগিরই মারা যান” -আর হুমায়ূন সেই অপরাপরকে সহনশীলতা দেখিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা হুমায়ূন আহমেদের সহনশীলতা, মানবিকতা ও পরিবারের প্রতি তার সমর্থনকে প্রসংশা করছেন। অনেকে আবার অনলাইন আক্রমণ ও কটূক্তির বিরুদ্ধে সচেতনতার আহবান জানাচ্ছেন।
প্রেক্ষাপট: হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে সময়ে সময়ে প্রকাশিত বিবৃতি ও স্মৃতিকথা সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আসে। লেখকের আত্মজীবনীমূলক স্মৃতিচারণা ও তার নীরব সহনশীলতা পাঠক ও সমালোচকদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া উসকে দেয়। বর্তমানে শাওনের ওই পোস্ট নেটেও ভাইরাল এবং আলোচনা–প্রতিবারে ভিন্ন রকম প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করেছে।
শাওনের ফেসবুক পোস্ট-অবাঞ্চিত কটুক্তি ও অনলাইনের বিদ্রূপের বিরুদ্ধে স্মরণ করিয়ে দেয় মানবিক সহানুভূতির মূল্য। হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও আচরণকে প্রশংসায় স্মরণ করছে নেটিজেনরা।

কীওয়ার্ডস:হুমায়ূন আহমেদ,মেহের আফরোজ শাওন,ফেসবুক বিতর্ক,সহনশীলতা,অনলাইন কটূক্তি


এ জাতীয় আরো খবর