আয়নাটাতো সব কিছুকেই খেলো
একটা গাছ, দুটো বাড়ি
চড়ুইপাখি, ভাতের হাঁড়ি
ফিঙে যখন নাচতে নাচতে এলো।
আয়নাটাতো সব কিছুকেই খেলো
দোলনা দোলা বারান্দা আর
গামার ডাল, শুকনো পাতা
পাখির ডানায় রোদের ঝলোমলো।
আয়নাটাতো সব কিছুকেই খেলো
দূরের বাড়ি, ঝুল-কার্নিশ
ছাদের চলন,গাঁইতি,বালিশ
ফুলের ভিতর অসংখ্য মোমগুলো।
আয়নাটাতো সব কিছুকেই খেলো
রেলিং ধরা বিষন্ন হাত
হাতের ভিতর জলপ্রপাত
আকাশটাও আয়না-পেটেই ম'লো।
আয়নাটাতো সব কিছুকেই খায়
সকাল বেলার পড়ন্ত ঘুম
দুপুর-রাতের সব নিঃঝুম
হাহাকারের রেশ কি থেকে যায় !
আয়নাটাতো এমনতরোই হয়
চোখের ভিতর বান কুল কুল
কাজল কিংবা কলমা রসুল
আয়না আঁকে বিশ্ব-পরাজয়।
আয়নাটাতো সব কিছুকেই খেলো
আঙুলজুড়ে সকল রেখা
আবার কোনো ভীষণ পাকা
নিরাহারের বুকের মাংসগুলো।
আয়নারে তুই এমনি হায়া-হীনা
চোখের পর্দা একফোঁটা নেই
কানের বিষয় তথৈবচ-ই
এমনি করেই বাজুক তবে বীণা।।