আজ শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) বাদ মাগরিব রাজধানীর উত্তরায় দক্ষিণখানের মাঝিবাড়ি রোডের গাজী সিটিতে অবস্থিত গাজী আইয়ুব আলী ও তফুরেন নেছা দারুল কোরআন মাদরাসায় পবিত্র কোরআন শরীফ ও আমপারার সবক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।মাদরাসার পরিচালক মুফতি যোবায়ের আহমদ চাঁদপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈমানী মৃত্যু নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন মুফতি তাওহিদ বিন মুনির, ইমাম, মোল্লারটেক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।আলোচনা পেশ ও সবক প্রদান করেন :মুফতি আবু ইউসুফ সাহেব।
কুরআন শরীফ ও আমপারার সবক নিয়েছেন :
১) গাজী মো: নাফিজ, পিতা: গাজী মো: টিপু ২) মেহেদী হাসান মেরাজ, পিতা: মো: আনওয়ারুল ইসলাম ৩) ইফতেখার হাসনাইন ইউসুফ,পিতা: মো ইয়াছিন মিয়া।
৪) মো: আবু বকর,পিতা: মো: আল-আমীন। ৫) ইশতিয়াক হাসনাইন ইউনুছ,পিতা: মো: ইয়াছিন মিয়া ৬) মো: সাফওয়ান ইসলাম,পিতা: মো: রিপন ইসলাম ।৭) মো: ইমতিয়াজ আহমদ রাকিব,পিতা: মো: আবুল কাশেম।
সবক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অভিভাবক গাজী আবুল কাসেম।এছাড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব গাজী আবুল হাসেম এর উত্তরাধীকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মাদরাসার পরিচালক মুফতি যোবায়ের আহমদ চাঁদপুরী উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,ইনশাআল্লাহ এ বছর মাদরাসা থেকে ৪ শিক্ষার্থী পাগড়ী গ্রহণ করবেন।তিনি প্রতিমাসে মাদরাসায় পবিত্র কোরআন ও সুন্নার বয়ান আয়োজনের প্রস্তাব পেশ করলে উপস্থিত সকলে সম্মতি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গাজী আইয়ুব আলী ও তফুরেন নেছা দারুল কোরআন মাদরাসাটি বাংলাদেশের অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ইসলামী জ্ঞান, কোরআন তিলাওয়াত ও হিফজের মাধ্যমে প্রজন্মকে আলোকিত করে আসছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ মাদরাসা কেবল ধর্মীয় শিক্ষা নয়, নৈতিকতা, মানবিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে অবিচল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এখানে শিক্ষার্থীরা হিফজুল কোরআন,আদর্শ নূরানী, নাজেরা ও হিফজ রিভিশন বিভাগে গভীরভাবে পড়াশোনা করে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ আলেমগণ শিক্ষার্থীদের ইসলামি আদর্শে গড়ে তোলার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন।
গাজী আইয়ুব আলী ও তফুরেন নেছা দারুল কোরআন মাদরাসার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর শৃঙ্খলা ও সুনিয়ন্ত্রিত পাঠদান পদ্ধতি। শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক সুবিধা, লাইব্রেরি, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাসামগ্রী এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা গড়ে তুলতে মাদরাসাটি অনন্য ভূমিকা পালন করছে।