সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

স্মরণ -অভিনেতা আবদুল জলিল

  • মেসবা খান
  • ২০২৫-০২-১৪ ০০:০৫:৩৭

বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা জলিল।
'পিচ ঢালা পথ' ছবিতে রবিন ঘোষের সুরে 'পিচঢালা এ পথটারে ভালবেসেছি তার সাথে এই মনটারে বেঁধে নিয়েছি' গানটি জলিলের লিপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
ছবিটি মুক্তি পায় ২৪ এপ্রিল ১৯৭০ সালে। এরপর জলিল অভিনয় করেন কাজী জহিরের 'ময়নামতি' ও 'মধু মিলন' ছবিতে।
'মধুমিলন' ছবিতে রাজ্জাকের বন্ধুর চরিত্রে তাঁর অনবদ্য অভিনয় তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল অনন্য উচ্চতায়।
ছবি তিনটির জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে চলচ্চিত্রের ফার্স্ট লেডি সুমিতা দেবী তাঁর 'আদর্শ ছাপাখানা' ছবিতে সুজাতার বিপরীতে নায়ক হিসেবে জলিলকে কাস্ট করেন। আর এটিই ছিল জলিলের শেষ ছবি। 
মা আজিজা বেগমের কথা রাখতেই তিনি চলচ্চিত্রকে বিদায় জানিয়ে আমেরিকান অয়েল কোম্পানিতে যোগ দেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই কোম্পানিই মেঘনা পেট্রোলিয়াম নামে যাত্রা শুরু করে। এই প্রতিষ্ঠানেরই চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন ১৯৯৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন প্রয়াত বিচারপতি আবদুল হাফিজ।
জলিলের অভিনয় জীবনের শুরু মূলত টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে। 
স্বাধীনতার আগে টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় হাসির নাটক ছিল 'ত্রিরত্ন'। এই 'ত্রিরত্ন' নাটকে 'হীরা চুনি পান্না' নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আশীষ কুমার লোহ, খান জয়নুল ও জলিল। এতদিন সেই ত্রিরত্নের পান্না অর্থাৎ জলিলই শুধু বেঁচে ছিলেন।
'ত্রিরত্ন' নাটকে জলিলের চরিত্র ছিল বোকা স্বভাবের একজন মানুষের।
চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে দুরে সরে থাকলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল শবনম, কবরী ও উজ্জ্বলের সঙ্গে। নায়করাজ রাজ্জাক ও রবিন ঘোষের সাথেও ছিল সখ্যতা।
জন্ম সৌদি আরবের বাহরাইনে ১৯৪৩ সালে।
তাঁর গ্রামের বাড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কাউরাট গ্রামে।
পরিবারের বসবাস রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এ। দুই ছেলে তৌফিক ও ওয়াহেদ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
অভিনেতা আবদুল জলিল ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে ৭৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি। 
 


এ জাতীয় আরো খবর