জাতির এগিয়ে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় শক্তি মানুষের মেধা। আর এই মেধার সঠিক সুরক্ষা ও ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, “একটি ন্যায্য, উদ্ভাবনী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মেধাসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি বলেন, “বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে একটি শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। শুধু মেধার জন্ম হলেই চলবে না, সেটির সঠিক স্বীকৃতি, সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ব্যবহারের পথও নিশ্চিত করতে হবে।”
বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘IP and Music: Feel the Beat of IP’ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “সংগীত শুধু বিনোদনের উপকরণ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও অর্থনীতির গভীর অংশ। লোকগান থেকে শুরু করে আধুনিক গানের মাধ্যমে আমাদের শিল্পীরা দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। এই সৃজনশীল শক্তিকে যদি সঠিকভাবে সুরক্ষা ও স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তবে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সংগীতসহ সব সৃজনশীল ক্ষেত্রেই মেধাসম্পদ আইন ও নীতির যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। প্রযুক্তি আর শিল্পের সমন্বয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে হবে।”
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যহীন, ন্যায্য ও সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও ড. ইউনূস তার বার্তায় উল্লেখ করেন।
শেষে তিনি এই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন এবং প্রত্যাশা করেন-মেধার স্বীকৃতি ও সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সচেতন ভূমিকা রাখবে।

প্রেক্ষাপট:
প্রতি বছর ২৬ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস। এই দিনটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য-সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে মেধাসম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরা।
বর্তমান বিশ্বে যে রাষ্ট্র যত বেশি উদ্ভাবনী, সে রাষ্ট্র তত বেশি প্রভাবশালী। বাংলাদেশকেও সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে মেধাসম্পদ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও আধুনিক করতে হবে। আর এই চিন্তাকে সামনে রেখেই ড. ইউনূসের বার্তা একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।