শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫

রাজনীতি ও সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কার

  • মোঃ জিয়াউল কবীর দুলু
  • ২০২৫-০৪-১২ ১২:২৮:১৭

২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির ভিতরেই দল,রাজনীতি  ও সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কারের যে দাবি উঠেছিল,ঘুরেফিরে সেগুলোই এখন উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু  মালিকানাস্বত্ব ঝুঁকিতে পড়বে বা বরবাদ হয়ে যাবে,এই আশংকায় শীর্ষ নেতারা সংস্কারের নাম শুনলেই আঁতকে  ওঠেন। ২০০৭ সালে ছিল সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার। সেটি এসেছিল একটি সামরিক অভুথানের মধ্য দিয়ে। চালকের আসনে ছিল সামরিক বাহিনী।এখন দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এটি এসেছে একটি গনবিদ্রোহের মধ্য দিয়ে। এটিও সেনা সমর্থিত। তবে চালকের আসনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।দুবারই আমরা দেখেছি, রাজনীতিবিদেরা নিজেরাই অভুথানের শর্ত তৈরি করে দিয়েছিলেন তাঁদের দূর্নীতি, অযোগ্যতা, ঈর্ষাপরায়নতা আর কুৎসিত গোষ্ঠী শাসন দিয়ে। 
দেশে এ পর্যন্ত ১২ টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আমরা নানা কিসিমে’র নির্বাচিত সরকার দেখেছি। রাজনীতিবিদেরাই নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ চালিয়েছেন। আমরা এও দেখেছি, রাজনৈতিক দলের লোকেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদলান না। বাইরে থেকে ঝাঁকুনি দিলে তারা একটু নড়েচড়ে বসেন। ঝাঁকুনি সরে গেলে আবারও আগের মতোই। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের রাজনীতি হলো ওয়াদাভঙের ইতিহাস।  পাবলিক পারসেপশনে যিনি চোর,তাঁকেই দূর্নীতির বিরুদ্ধে উঁচু স্বরে কথা বলতে দেখি। জনগণের অধিকারের চিন্তায় রাতে যার ঘুম হয় না,তাকেই দেখি কালো আইন বানিয়ে মানুষের টুঁটি  চিপে ধরতে। তবে এটিও সত্য, নিজেরা না বদলালে বাইরে থেকে কেউ বদলে দিতে পারবে না। নাগরিকরা শুধু চাপ দিয়ে যেতে পারেন।পরিস্থিতি এমনই। সমাজের মুল স্টেকহোল্ডার নাগরিকেরা।রাজনৈতিক দল মেধা আর ভিশন দিয়ে নাগরিকদের আকাঙ্খা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে,এটাই নাগরিকদের চাওয়া।


এ জাতীয় আরো খবর