রাণীশংকৈল:-সূর্যমুখী।দেখতে ফুল হলেও আসলে এটি একটি তেল জাতীয় ফসল। সূর্যের মতো দেখতে ও সূর্যকে অনুসরণ করায় এই ফসলের নাম দেওয়া হয়েছে সূর্যমুখী ফুল।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এবার ২ একর জমির এই সূর্যমুখী ফুলের বাগানের ফুল ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সাড়া জাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায় বাগানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় দেখে।
উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গোটা সবুজের মাঠে কয়েক বিঘা জমির সূর্যমুখীর বাগানের শোভা ছড়ানো দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে হলুদ ফুলের সমারোহ। আর এই হলুদের সমারোহে ছবি তোলায় ব্যস্ত থাকে পথচারীসহ এলাকাবাসী।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রজেক্টের আওতায় নেকমরদ গন্ডগ্রাম এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা ২৪-২৫ অর্থ বছরে ৫০ শতক জমিতে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্যাটার্নভিত্তিক একক প্রদর্শনী সূর্যমুখী- আউশ- রোপা আমন মৌসুমে হাইসান ৩৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তার এই ব্যতিক্রমী ফসল রাস্তার পাশে হওয়াতে সারাদিন বিভিন্ন পথচারী মোবাইলে ছবি তোলাসহ ভিডিও করতে ভীড় জমাচ্ছেন এ বাগানে।
বাগান দেখতে আসা আবু সাইদ জানান, আসলে এই ধরনের সূর্যমুখী ফসল সবাই চাষ করে না।এই ফসল এলাকার যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমনি এ ফসল থেকে তেল উৎপাদন করে অনেক কৃষক লাভবান হয়ে থাকেন।
কৃষক গোলাম মোস্তফার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এখানে আমাদের কেউ একজন বসে থেকে পাহারা দেই। কারণ যাতে কেউ ফুল না তুলতে পারে। তবে ফুলের সাথে ছবি তুলতে কোনো বাধা দেওয়া হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় প্রায় ছয় বিঘা জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। এই ফুল থেকে যে ফল হয় সেটি হতে উন্নত মানের তেল পাওয়া যায়। এই তেলের দাম অন্যান্য তেলের চেয়ে বেশি এবং অনেক পুষ্টি কর ও সুস্বাদু।