মফিদুল হক একজন লেখক, প্রকাশক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি।
জন্ম ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে নোয়াখালীতে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিক্ষার্থী প্রকল্পের একজন পরিচালক। তাঁর জন্মের পরপর পিতার কর্মস্থল নোয়াখালী শহর গ্রাস করে মেঘনা নদী।
মফিদুল হক ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের পর ঢাকা ছেড়ে গিয়ে ১৪ এপ্রিল ফিরে আসেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট পার্টির গেরিলা তৎপরতায় সহযোগিতা করা। এ কাজ করতে গিয়েই থেকেছেন ঢাকায় এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন নিজাম উদ্দিন আজাদ পরে তিনি বেতিয়ারা যুদ্ধে শহীদ হন। এছাড়াও ছিলেন নূহ-উল-আলম লেনিন এবং আরও অনেকে। তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকায় একটি নেটওয়ার্ক গঠন করা। দায়িত্বের মধ্যে ছিল মূলত যোগাযোগ রক্ষা করা, আশ্রয়ের জায়গা ঠিক করা, মুক্তাঞ্চল থেকে কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে বের হওয়া 'মুক্তিযুদ্ধ' পত্রিকাটি বিতরণ করা।
যাদের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রক্ষা করতেন তাদের মধ্যে ছিলেন কবি শামসুর রাহমান, কাইয়ুম চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
শিল্পী নিতুন কুণ্ডু তাঁর গাড়িটা তাঁদের দিয়ে যান ব্যবহার করার জন্য। তাঁদের নেটওয়ার্কটি পরিচালনা করতেন কাজী আজিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম।
প্রকাশিত গ্রন্থ - মনোজগতে উপনিবেশ: তথ্য সাম্রাজ্যবাদের ইতিবৃত্ত ও তৃতীয় দুনিয়া, আবুল হাশিম, পূর্ণেন্দু দস্তিদার, কাইয়ুম চৌধুরী, (ইংরেজি) দ্য ওয়ার্ল্ড অব থিয়েটার-জি (যুগ্ম সম্পাদক) দেশ ভাগ সাম্প্রদায়িকতা এবং সম্প্রীতির ভাবনা, নারীমুক্তির পথিকৃৎ পুর্ণেন্দু দস্তিদার, প্রতিকৃতি ও প্রয়াতজন কথা, জেনোসাইড নিছক গণহত্যা নয়, কান পেতে রই (চলচ্চিত্র)।
ফেসবুক পরিবারের পক্ষে তাঁর জন্য রইল শুভ কামনা আজকের এই বিশেষ দিনটিতে।