সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালে চিটাগং কিংস

  • সকালের আলো প্রতিবেদক
  • ২০২৫-০২-০৫ ২১:৪৮:০০

২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালে চিটাগং কিংস। শেষ বলে চার রান প্রয়োজন ছিল চিটাগং কিংসের। অনেকটা সময় নিয়ে ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই কাজে আসেনি। মুশফিক হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটিকে এক্সট্রা কাভার দিয়ে সীমানাছাড়া করেন চিটাগংয়ের স্পিনিং অলরাউন্ডার আলিস আল ইসলাম। আর তাতেই কেল্লাফতে!আর একরাশ হতাশা সঙ্গী করে বিদায় নেয় খুলনা।
১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ ওভারেই ১০৫ রান তুলে ফেলেছিল চিটাগং কিংস। হাতে তখনো ৮ উইকেট। শেষ ৮ ওভারে প্রয়োজন ছিল কেবল ৫৯ রান, ওভার প্রতি ৭ রানের কিছু বেশি তুললেই চলত।
৩৫ রানে ২ উইকেট খোয়ানোর পর হুসেইন তালাত এবং ওপেনার খাজা নাফে-র জুটিতে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিল তারা। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার মিলে যোগ করেন ৪৮ বলে ৭০ রান।
কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই ঘটে ছন্দপতন। নাসুমের বলে ক্যাচ তুলে দেন তালাত। ২৫ বলে ৫ চার এবং ১ ছক্কায় ৪০ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচ লুফে নিতে কোনো ভুল করেননি অ্যালেক্স রস।
আর ১৬তম ওভারের প্রথম বলে মুশফিক হাসান গুঁড়িয়ে দেন নাফে-র স্টাম্প। ৪৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় চিটাগংয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করা এই পাকিস্তানি ব্যাটারকে ফিরিয়ে জোরেশোরেই ম্যাচে ফেরে খুলনা।
কিন্তু চিটাগংয়ের লেজের সারির ব্যাটারদের যে তখনো খেল দেখানো বাকি! দুই স্পিনার আরাফাত সানি এবং আলিস আল ইসলাম মিলে ভাসিয়ে রাখেন চিটাগংয়ের ভেলা। খুলনার বোলারদের হতাশা বাড়িয়ে নিয়মিত বাউন্ডারি আর প্রান্ত পরিবর্তন করে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন তারা।
শেষ ওভারে তবু বড় এক চ্যালেঞ্জই ছিল তাদের সামনে। ৬ বলে দরকার ছিল ১৫ রান। তিন চারের সঙ্গে একটি করে সিঙ্গেল এবং ডাবলে সে হিসাব মেলান চিটাগংয়ের ব্যাটাররা।

 


এ জাতীয় আরো খবর