আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) থেকে সপ্তমবারের মতো দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে । নির্বাচন কমিশনের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এর পর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন কেন্দ্রে শুরু হবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন, চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনাররা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলে নিবন্ধন। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
এদিকে ২০২২ সালে নেওয়া তিন বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের আগে ভোটার তালিকা ৬ বার হালানাগাদ করা হয়েছে। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়।
হালনাগাদে নতুন ভোটারদের যেসব তথ্য দিতে হবে-
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
২. জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি।
৩. নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)।
৪. এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-
১. নিজের নাম, পিতামাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
২. জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
৪. কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।