ক্রিকেটের জমকালো আয়োজন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের নবম আসর আগামী দোসরা জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের ৩টি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬টি ভেন্যুতে ২৯ শে জুন পর্যন্ত চলবে। ২০০৭ সালে ১২ দলের অংশগ্রহণে শুরু হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট।এবার ২০টি দল অংশ নিতে যাচ্ছে।
ইংল্যান্ডে ২০০২ সালে বেনসন অ্যান্ড হেজেস কাপ ক্রিকেট লিগ শেষ হওয়ার পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড খুঁজতে শুরু করে ক্রিকেটের নতুন কোন ফরম্যাট। যা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সক্ষম। শেষ পর্যন্ত বোর্ড কর্তৃপক্ষ বেছে নেয় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ ২০ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে ২০ ওভারের ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের।
ইংলিশদের পর পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়ার মতো ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোও ২০ ওভারের ম্যাচের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ আয়োজন শুরু করে। এসব লিগে দর্শকের উপস্থিতিই ইঙ্গিত দিচ্ছিলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বেশ জনপ্রিয়তা পাবে। এরপর ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ইডেন পার্ক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ার পর ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১২টি দলের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর ২০১২ সাল পর্যন্ত ১২টি দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরো ৩টি আসর আয়োজন হয়। ২০১৪ সাল থেকে ১৬টি দলের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এভাবে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪টি আসরের আয়োজন করা হয়। এবারে, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের নবম আসর হতে যাচ্ছে ২০ দলের অংশগ্রহণে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ দুইবার করে শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড। ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১০ ও ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। এছাড়া, একবার করে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া।