সময়ের সবচেয়ে নন্দিত ও প্রতিশ্রুতিশীল রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শিমু দে। বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সঙ্গীতশিল্পী শিমু দে সোনারতরী'র পঞ্চকবির গানের অত্যন্ত সুপরিচিত ও গুণী শিল্পী। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা ও তার প্রচার এবং প্রসারের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছেন মেধাবী এই শিল্পী। বাংলাদেশ বেতারের মিউজিক প্রডিউসার হিসেবে দক্ষতার সাথে অবদান রাখছেন তিনি।
একসাথে ১০/১২টি গান নিয়ে আ্যলবাম প্রকাশ করার দিন এখন আর নেই। শিল্পীরা মূলত একটি গান দিয়ে আ্যলবাম প্রকাশ করেন অনলাইনে। শিল্পী শিমু দে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। রবীন্দ্রনাথের ১০টি গান নিয়ে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর একক অ্যালবাম 'সঙ্গীতমধুরিমা'। এটি তাঁর রবীন্দ্রসংগীতের চতুর্থ একক আ্যলবাম। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর 'তোমায় আমায় মিলে' রবীন্দ্রসংগীতের আ্যলবাম।
অনলাইন ভিত্তিক বাংলাদেশের অন্যতম সঙ্গীত স্কুল 'শিমু দে সঙ্গীত একাডেমি' তাঁর অসাধারণ কার্যক্রম। রবীন্দ্রসংগীতে 'অনন্য মান' প্রাপ্ত তাঁর এই একাডেমিতে রয়েছে রবীন্দ্রসংগীত শেখার সুবর্ণ সুযোগ। এতে রয়েছে প্রতিটি গানের ভিডিও ক্লাস, সাপ্তাহিক লাইভ ক্লাস এবং গান শেখার পর মূল্যায়ন ব্যবস্থা।
শিমুর সংগীতে হাতেখড়ি শৈশবেই। বাবা ছিলেন সংগীতগুরু। সংগীতে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ নিয়েছেন তিনি শান্তমারিয়াম ইউনিভার্সিটি থেকে। সেই শৈশব থেকেই গান গেয়ে নানান পুরস্কার পেয়েছেন শিমু। কলকাতা থেকেও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারে প্রযোজক হিসেবে এখন কর্মসূত্রে আবদ্ধ।
শিমু জীবনের এই এত দূর এসেও কৃতজ্ঞচিত্তে এখনো স্মরণে রাখেন সংগীতগুরু ভরত চন্দ্র, রতন লাল সূত্রধর, ওয়াহিদুল হক, লিলি ইসলাম, সুজিত মোস্তফা প্রমুখ মহীরুহদের নাম। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে গান গাওয়াটা তাঁর বড় এক প্রাপ্তি।
শিমুর জন্ম ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখের কোনও এক মাহেন্দ্রক্ষণে যমুনা পাড়ের সিরাজগঞ্জের শিল্প ও সংস্কৃতিমনা পরিবারে। তাঁর ডাক নাম বুড়ি।
ফেসবুক পরিবারের পক্ষে তাঁর জন্য রইল শুভ কামনা আজকের এই বিশেষ দিনটিতে।