সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের ঐতিহাসিক ১০ নম্বর বাড়ি ছাত্র-জনতার দ্রোহের আগুনে চূর্ণবিচূর্ণ

  • সকালের আলো প্রতিবেদক
  • ২০২৫-০২-০৭ ০০:১৭:৪৯

দিল্লিতে পলাতক শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের ঐতিহাসিক ১০ নম্বর বাড়ি ছাত্র-জনতার দ্রোহের আগুনে চূর্ণবিচূর্ণ। জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির পাশাপাশি ধানমন্ডির সুধা সদন, খুলনায় শেখবাড়ি, ভোলায় তোফায়েল আহমেদের বাড়ি, কুষ্টিয়ায় হানিফের বাড়ি, বরিশালে আমির হোসেন আমু ও সাদেক আবদুল্লাহর বাড়ি, নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের বাড়ি, নোয়াখালিতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িসহ হাসিনার মাফিয়া চক্রের অনেক সদস্যের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ওই সব বাড়িকে দুর্নীতির আখড়া এবং জুলুম নির্যাতনের আঁতুরঘর হিসেবে দেখা হতো। শুধু তাই নয়, রংপুর, রাজশাহী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছে ছাত্র-জনতা। এসব ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত হলেও অনভিপ্রেত ছিল না। কারণ শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে বাংলাদেশের রিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। পালানোর আগে হাজার হাজার মানুষ খুন করার জন্য অনুশোচনা এবং ভুল স্বীকারের বদলে একের পর এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও এখনো শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা সম্ভব হয়নি। এমনকি হাসিনার অলিগার্ক আমলারা প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় হাসিনার বিরুদ্ধে জোড়ালো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়নি। বরং প্রশাসনের ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ থিউরি গ্রহণের কারণে হত্যা মামলার বহু আসামি পালিয়ে গেছে। এমনকি উপদেষ্টা পরিষদে এনজিও কর্মকর্তা ও দিল্লির তাবেদারদের প্রাধান্য থাকায় সরকারও ১৫ বছরের লুটেরাদের বিরুদ্ধে তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়নি। অভ্যুত্থানের ৬ মাস পর ছাত্র জনতার এই দ্রোহ নতুন বার্তা দিচ্ছে। ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করলে কী পরিণতি হয় সেটা যেমন ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে জানান দেয়া হয়েছে; তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক বার্তা দেয়া হয় যে, বিপ্লব শেষ হয়ে যায়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা থেকে বিচ্যুত হলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আগুন

৩২ নম্বর ধ্বংসস্তূপ : ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী আওয়ামী লীগের আন্দোলন কর্মর্সূচী এবং ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বক্তৃতা ফেসবুকে লাইভ প্রচার নিয়ে উত্তেজনার জেরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গত বুধবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে (বঙ্গবন্ধু জাদুঘর) ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও বিক্ষোভের মধ্যে একপর্যায়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে একটি ক্রেন, একটি এক্সকাভেটর ও দুটি বুলডোজার দিয়ে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি। হাসিনার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তৃতা এবং দেশের মানুষকে নিয়ে প্রতিহিংসার বিষ উদগিরনের কারণে ঐতিহাসিক বাড়িটি এখন ধ্বংসস্তূপ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য কালের সাক্ষী বাড়িটি যেন এক মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তিন তলাবিশিষ্ট বাড়িটির ক্ষুদ্র একটি অংশ এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িটির আশেপাশে থাকা বাকি স্থাপনাও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ির পরিত্যক্ত সরঞ্জাম নিয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে বুধবার রাত ৮টার পর থেকে গতকাল গভীর রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা অবস্থান করছেন। তারা হাসিনার বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিচ্ছেন। আর ভবনের ভেতরে আগুন জ্বলছে। এর মধ্যে দিয়েই বুলডোজার দিয়ে ভবন ভেঙ্গে ফেলে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারী যন্ত্র দিয়ে বাড়িটি ভাঙতে দেখা গেছে। বাড়ির সামনের অংশে তিনতলা পর্যন্ত অনেকটাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাতে যারা ছিলেন, তাদের অনেককেই সকালেও বাড়ির সামনে দেখা গেছে। ফজরের নামাজের পর থেকেও সাধারণ মানুষের অনেককেই ৩২ নম্বরের বাড়ির দিকে যেতে দেখা যায়। সেখানে জড়ো হওয়া কয়েকজন বলেছেন, স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন তারা রাখতে চান না। ভবনের বড় অংশ ভাঙলে মানুষকে উল্লাস করতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, ধসে পড়া ছাদ ও রেলিংয়ের ভাঙা অংশ থেকে বেরিয়ে আসা রড সংগ্রহের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। কেউ আবার হাতুড়ি পিটিয়ে ধসে পড়া ছাদ ভাঙার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ এখানে-সেখানে পড়ে থাকা লোহার রড ও ইস্পাতের অংশ কুড়িয়ে নিচ্ছেন।

এ সময়ও কয়েকজন সংবাদকর্মীকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় খবর সংগ্রহে। মাল্টিমিডিয়ার কর্মীদের সরাসরি লাইভে অংশ নিতে দেখা যায়। উৎসুক জনতার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। টিভি মিডিয়ার পাশাপাশি প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া এমনকি ইউটিউবারদের ভিডিও করতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বুধবার রাত ৮টার পর বিপুলসংখ্যক মানুষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জড়ো হন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ছাত্র-জনতার ভিড়। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা গেট ভেঙে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের তিন তলাবিশিষ্ট বাড়িটির ভেতরে ঢুকে শুরু করে ভাঙচুর। রাত ১১টার দিকে একটি ক্রেন ও একটি এক্সকাভেটর ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। শুরু হয় বাড়ি ভাঙার কাজ। এ সময় ৩২ নম্বর সড়কের ওপর দুটো পুলিশ ভ্যান ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। মধ্যরাতে সেখানে উপস্থিত হন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে, তারাও একসময় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে এক্সকেভেটর দিয়ে | The Daily Star  Bangla

সুধা সদনে আগুন : ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অগ্নি সংযোগের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা রাজধানীর ধানমন্ডির শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দেয়া হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর সেখানে আগুন দেয়া হয় বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। কয়েকজন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হাসিনার এক সময়ের বাসভবন ধানমন্ডি ৫/এ সড়কের সুধা সদনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গণপিটুনির ভয়ে আগুন নেভাতে যাননি। এ বিষয়ে জানতে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুধা সদনে আগুনের খবর পান তারা। রাত ১২টার সময় সুধা সদনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার বিভিন্ন কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ওই এলাকায় দায়িত্বরত ধানমন্ডি সোসাইটির নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার পর ছেলেরা এসে সুধা সদনে আগুন দেয়। আগুন ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লোকেরা এসে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে আশপাশের ভবনের বাসিন্দারা এসে পানি দিয়ে নিচতলার আগুন নেভায়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বুধবার রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভাষণ দেন। এর প্রতিবাদে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি। পরে সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমিমুক্ত হবে।’ এরপর রাত আটটার দিকে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা বাড়িটির ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। পরে ওই ভবনে আগুন দেয়া হয়। এক্সকাভেটর ও ক্রেন দিয়ে ভবনটি চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়।

রাজশাহীতে শাহরিয়ারের বাড়িতে আগুন
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাড়ি ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভাঙচুরসহ আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আড়ানীর বাড়িতে আগুন ও ছাতারী এলাকায় অবস্থিত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে শাহরিয়ার আলম আত্মগোপনে। এদিকে রাজশাহী কলেজে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, কাউয়া কাদেরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, স্বৈরাচারের দোসর ওবায়দুল কাদেরের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও-সহ নানা সেøাগান দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতা। গতকাল বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এদিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন ভবন, হল, স্থাপনা ও প্রকল্পসমূহের বর্তমান নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে।

বরিশালে মধ্যরাতে বুলডোজার চললো হাসানাত-আমুর বাসভবনে
বরিশাল ব্যুরো জানান, বরিশাল সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়ি ‘সেরনিয়াবাত ভবন’ বুলডোজার নিয়ে শতাধিক মানুষ ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। একই সময়ে নগরীর বগুড়া রোডের ভূতের বাড়ি এলাকায় আমির হোসেন আমু’র বাসভবনে বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।

মধ্যরাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো হাসানাত-আমুর বাড়ি

ভোলায় তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাবেক মন্ত্রী, ভোলা-১ আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গত বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ভোলা শহরের গাজীপুর রোডস্থ প্রিয় কুটির নামের তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

খুলনার শেখ বাড়ি ধংসস্তূপ
খুলনা ব্যুরো জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে পরিচিত ‘শেখ বাড়ি’। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় সেই বাড়ি। এরপর অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র-জনতা। পরে রিক্সা, ভ্যানসহ বিভিন্ন হালকা বাহনে ওই বাড়ির ইট ও রড নিয়ে যায় মানুষ।

জনরোষে ধ্বংসস্তূপ খুলনার শেখ বাড়ি - banglanews24.com

কুষ্টিয়াতে এস্কেলেটর দিয়ে ভেঙে দেয়া হলো হানিফের বাড়ি
বিশেষ সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ার এস্কেলেটর দিয়ে ভেঙে দেয়া হলো আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সাবেক এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ এর বাড়ি। কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে অবস্থিত তিনতলা বাড়িটি ছাত্র-জনতা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু করে।

ঝালকাঠিতে আমুর নামে থাকা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর নামে ঝালকাঠি বাসভবন ও তার নামে থাকা সব প্রতিষ্ঠানের নামফলক ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের রোনালসে সড়কের বাসভবন ভাঙচুর শুরু করে ছাত্র-জনতা।

নারায়ণগঞ্জে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙলো আইনজীবীরা
নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জে তিন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। গতকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপার এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের তিনটি ম্যুরাল ভেঙে দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ও কলেজ শাখা ছাত্রদল ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

চুয়াডাঙ্গায় মুজিবের ম্যুরাল আ. লীগের কার্যালয় ভেঙে দিয়েছে ছাত্র-জনতা
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিরোধী সেøাগান দিয়ে প্রথমে জেলা কালেক্টর ভবনের সামনে শেখ মুজিব ও ফজিলাতুন্নেছার ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

কক্সবাজারে শেখ মুজিবের মূর্তি ভাঙার হিড়িক
কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, কক্সবাজারে শেখ মুজিবের মূর্তি ভাঙার হিড়িক পড়ে। গতকাল ছাত্র-জনতার মিছিলে উত্তাল ছিল কক্সবাজার। দুপুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার পানিউন্নয়ন বোর্ডের প্রবেশ পথের দেয়াল থেকে শেখ মুজিবের মূর্তি ভেঙে ফলতে।

Bangladesh | আন্দোলনের ভয়াবহ ছবি বাংলাদেশে, ভাঙা হল বঙ্গবন্ধু মুজিবুর  রহমানের মূর্তি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

-->

এ জাতীয় আরো খবর