আজ সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর জাতীয় কাউন্সিলের ৫২ তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন যুবকদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্কাউট প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। নতুন প্রজন্ম সঠিক পথে পরিচালিত হয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে পারে সে লক্ষ্যে স্কাউট সংগঠকদের আরো বেশি তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন যুবকদের সৎ, চরিত্রবান, আদর্শ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সর্বজনবিদিত ও কার্যকর শিক্ষামূলক কার্যক্রম স্কাউট আন্দোলন। বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণীকে স্কাউটিং এ বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক, সৎ, আত্মনির্ভরশীল সুনাগরিক ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্কাউট ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন স্কাউটের সংখ্যা ২৫ লক্ষের অধিক হলেও দেশের জনসংখ্যার তুলনায় এ সংখ্যা অপ্রতুল। স্কাউট সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও স্কাউটিংয়ে সমানভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে।
স্কাউটরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে স্কাউট আদর্শের প্রতিফলন ঘটাবে ও দেশের উন্নয়ন কাজে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আত্মনিয়োগ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ, অগ্নিকা-ে আহতদের সেবাদানেও স্কাউটরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বৃক্ষরোপণ, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা, ইপিআই কর্মসূচি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং পরিবেশ সচেতনতায় স্কাউটরা শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছে। স্কাউটদের সেবাধর্মী কাজ তৃণমূল পর্যন্ত আরো বিস্তৃত হলে দেশের মানুষও আরো সুফল লাভ করবে।
তিনি বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ স্কাউটস এর অবস্থান ও ভাবমূর্তি অত্যন্ত উজ্জ্বল। এ অবস্থান আরো সুদৃঢ় ও সমুন্নত রাখতে কার্যকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। স্কাউটিং এর সার্বিক কর্মসূচিকে সময়োপযোগী এবং দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সংগঠকদের সচেষ্ট থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে তথ্য-প্রযুক্তি, কম্পিউটার, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভাষাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ প্রায়োগিক কলা-কৌশল রপ্ত করতে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। স্কাউট প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করতে পারে।