অদ্য ৫ নভেম্বর দুপুর ২টায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে ‘ভয়েস অব লইয়ার্স বাংলাদেশ’ আয়োজিত ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ভারত কর্তৃক ফারাক্কা, তিস্তা ও টিপাইমুখসহ বাংলাদেশের ৫৪টি নদী থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহারের দাবি জানান। এছাড়াও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা বন্ধ, ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক তালপট্টি অবৈধভাবে দখলে রাখা, নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচারে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের সহযোগিতা ও আশ্রয় প্রদান, পার্বত্য এলাকাকে ভারতের করতল করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে মদদ দেয়া, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা ও রাজনৈতিক অবিশ্বাস এবং অভ্যান্তরীন প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
ভয়েস অব লইয়ার্স বাংলাদেশ এর প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট আশরাফ উজ-জামান এর উপস্থিতিতে লংমার্চ বিষয়ে সার্বিক অবস্থার ব্রিফিং করেন লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি, সিনিয়র এডভোকেট তাসফিন রানা, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, এডভোকেট হুমায়ুন কবির, এডভোকেট লিটন চৌধুরী, এডভোকেট সাজ্জাদ সরওয়ার, এডভোকেট ড. নুরুল আউয়াল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন ভয়েস অব লইয়ার্স বাংলাদেশ এর কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট দেলওয়ার হোসেন।
আগামীকাল ৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৮.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের ৪৮ ঘন্টাব্যাপী লংমার্চ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে। লংমার্চটি জয়দেবপুর, চৌরাস্তা মোড়, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মোড়, সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়, নাটরের মাদ্রাসা মোড় হয়ে সন্ধ্যা ৭টায় রাজশাহী সার্কিট হাউজে প্রেস ব্রিফিং ও রাত্রিযাপন করবে।
এরপর ৮ নভেম্বর সকাল ৭টায় সোনামসজিদ সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা, সকাল ৯.৩০ টায় চাপাইনবাবগঞ্জ কোট চত্বরে পথসভা এবং বেলা ১১টা থেকে সোনামসজিদ সীমান্তে অবস্থান। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করা হয়।