কিশোরগঞ্জের যুবক তানভীর আহমেদ শাওন জয় করলেন হিমালয় পর্বতমালার ‘আমা দাবালাম’ পর্বত।
হিমালয়ের ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার 'আমা দাবালাম' শৃঙ্গটির পরিচিতি এর খাড়া প্রকৃতির কারণে। এটি জয় করতে গিয়ে ইতোমধ্যে ৩৪ জন আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। রোববার সেই শৃঙ্গে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন কিশোরগঞ্জের পর্বতারোহী তানভীর আহমেদ শাওন। হিমালয়ের খুম্বু অঞ্চলের সুপার টেকনিক্যাল পিক হিসেবে পরিচিত এই শৃঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০২২ সালে উঠেছিলেন ডা. বাবর আলী।
তানভীর পেশায় লেদার ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর দাদা কিশোরগঞ্জ জেলার ঐহিহ্যবাহী আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মুন্সী আজিম উদ্দিন আহমদের নাতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক উদ্দিন আহমেদ আবাদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আহমেদ শিউলির ছেলে।
তানভীরের স্ত্রী নিগার পারভীন নিপুও লেদার ইঞ্জিনিয়ার। দু'জনই ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এই দম্পতির একমাত্র মেয়ে মির্জা আহমেদ এরিন (২)।
তানভীরের মা শিরিন আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে মার্কিন সংস্থা ভিএফ করপোরেশনের সিনিয়র প্ল্যানার পদে কর্মরত আছেন। তানভীর 'ভার্টিকাল ড্রিমার্স' নামে একটি পর্বতারোহী ক্লাবের অর্থ সম্পাদক। শিরিন আহমেদ জানান, 'আমা দাবালাম' পর্বতটি খাড়া প্রকৃতির। যে কারণে হিমালয়ের 'আমা দাবালাম' শৃঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা হাতে তানভীর আহমেদ সংগৃহীত ছেলেকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন। গত সোমবার সকালে তানভীর 'আমা দাবালাম' শৃঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা হাতে ছবি পাঠিয়েছেন মায়ের কাছে।
ছেলের এই অর্জনের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে শিরিন আহমেদ বলেন, 'আমা দাবালাম' অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে তানভীর তিন মাসে ৭০০ কিলোমিটার দৌড়েছেন। কার্ডিও প্র্যাকটিস করেছেন ২৮ ঘণ্টা। এর আগেও ভারতের ৬ হাজার ৩০৭ মিটার উচ্চতার 'দেও তিব্বা' পর্বত, ৬ হাজার ৩০৭ মিটার উচ্চতার 'রামজাক' পর্বত ও নেপালের ৬ হাজার ৫৯ মিটার উচ্চতার 'চুন্নু ফারইস্ট' পর্বতশৃঙ্গও জয় করেন তানভীর। ২০২১ সালে চুন্নু ফারইষ্ট জয়ের সময় তাঁর ছোট ভাই সোহান আহমেদ তন্ময়ও সঙ্গে ছিলেন।