২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ১০৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৫৯ জন। লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি সম্ভাব্য স্থল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। সেই লক্ষ্যে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে তেল আবিব।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের করাচিতে হিজবুল্লাহ প্রধানের মৃত্যুর প্রতিবাদে করা বিক্ষোভে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
ইসরায়েলের বিরামহীন বিমান হামলায় বিপর্যস্ত লেবানন। হিজবুল্লাহর নানা স্থাপনা ধ্বংস করতে রাজধানী বৈরুত, বেকা উপত্যকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বোমা ফেলছে নেতানিয়াহুর সেনারা। এতে এক সপ্তাহে শীর্ষ নেতা নাসরাল্লাহসহ হিজবুল্লাহর ৭ উচ্চ পর্যায়ের কমান্ডার নিহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৪শ’র বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে। এছাড়া দুই দিনে প্রাণ গেছে ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর।
এ অবস্থায় লেবাননে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে উত্তরের সীমান্তে বিপুল সেনা, ট্যাংক ও কামান মোতায়েন করেছে আইডিএফ। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা আসেনি।
ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে লেবাননের অন্তত ১০ লাখ মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছে। যার মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পায়ে হেঁটে পাশের দেশ সিরিয়াতে ঢুকে পড়েছে।
লেবাননে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও একই সময় ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র সহায়তা এবং পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় ওয়াশিংটনের দ্বৈত নীতির বিষয়টি ফুটে উঠছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তানের করাচিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।