অতীব মনোযোগের সাথে পায়ে আলতা পড়ছে বকুল। মুখে তার সলাজ হাসি। মাথা ঝুঁকিয়ে রাখার ফলে নাকের নথখানা ঝুলে আছে। কোত্থেকে ছুট পায়ে দৌড়ে আসে বকুলের মামাতো বোন রোদেলা। হাতে একঝুড়ি বকুল ফুল। চোখ কপালে ওঠে বকুলের। অবাক নেত্রে সুধায়, "কীরে......এ কী?" তোমার উনি দিছে, বলেই দৌড় লাগায় রোদেলা। অদ্ভুত এক ভালোলাগার শিহরণে রোমাঞ্চকর অনুভূতি হয় বকুলের। ফুলগুলো ছুঁয়ে দেখে, আজলা ভর্তি ফুল নিয়ে দুষ্টুমিতে ব্যস্ত হয় বকুল।
আজমল হোসেনের গুরুগম্ভীর কন্ঠে কেঁপে ওঠে বকুল। দুরুদুরু বুকে বাবার সামনে এসে হাজির হয় সে। নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। আজমল হোসেন মিষ্টি হেসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, "কি রে মা, তোর পড়াশোনা কেমন চলছে? ভালো আব্বা, স্কুলের সময় হয়েছে আমি যাই। আজমল হোসেন অবাক হন। তার মেয়ে কী তাকে এড়িয়ে চলছে? কই মেয়ে তো আগে এমন ছিলো না। সারাক্ষণ আব্বা আব্বা করে চারদিক মুখিয়ে রাখতো। তবে কী......। (চলবে)