মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৪

আশ্চর্য হইয়া লাভ নাই,আজ যা সঠিক ভাবি কাল দেখি গলদ

  • জাহাঙ্গীর বাবু
  • ২০২৪-০৯-১৩ ১৩:৫১:৪২

হাজার শহীদ হাজার হাজার আহত করে কোন আফসোস নেই।ভাবছে এইগুলো খুন না।দেশ রক্ষা।ওই দিকে ওরা দল বানাচ্ছে ক্ষমতায় যাবে,ওই দিকে জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উর্দু বক্তৃতায় পালন হচ্ছে।তাও যদি পাকিস্তান হাই কমিশনের ভেতর হত।তা না করে জাতির গালে চটকনা মেরে প্রেসক্লাবে হলো।
ওই দিকে বেয়াদবি হয়ে যাচ্ছে বক্তৃতায়,বকরার তিন নম্বর বাচ্চা বানিয়ে দেয়া হচ্ছে এই আন্দোলনের মুল কারিগরদের। কেউ সময় দিতে চায়, কেউ সময় দিতে চায় না।
শুনতে খারাপ লাগলেও,  ১/১১ র মতো সবগুলারে বান্ধা উচিৎ ছিল।পরে না হয় নাটকীয় কায়দায় আস্তে আস্তে পছন্দের গুলারে ছাড়া হইতো।তাও এই আন্দোলন এর হিস্যাদারদের কামড়া কামড়ি বন্ধ হইতো।কেউ আবার বলছে-সারা বাংলা সফরের তেল পানি পায় কই।আবার কেউ বলে, সব সাজানো নাটক চলে। যে ক'দিন থাকার থাকুক।এটাতো সুবিধাভোগীদের ছায়া সরকার।টক শো মিডিয়ায় দেখাবে এক, অন্তরে আরেক।যা চলে চলুক।
আদার বেপারী জাহাজের খবর নিয়ে লাভ নেই। পরিবর্তন হয়েছে রক্ত শ্রোতের উপর দিয়ে।ইহা সত্য।হাসপাতালের বিছানায় আহতরা কষ্ট পাচ্ছে।কেউ পঙুত্ব নিয়ে ঘরে।যাদের লাভ, তারা ব্যবসা করবে স্বাভাবিক।
জিন্নাহর শোক সভার ছবিটা, আর উর্দু বক্তব্য হাইকমিশন এর বাইরের হওয়ায় বিস্মিত হয়েছি।যদিও আমি উর্দু,হুন্দি,পাঞ্জাবী ভাষায় পারদর্শী। শহীদ মিনারে জুতা পায়ের ছবিতে যা কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে শত-হাজার গুন বেশি পেয়েছি এই কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ শোক দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বলেছে ভারত আমাদের ভাগ করেছে।তাহলে কি আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন পতাকার জন্য লড়েনি?
যারা একুশের গায়ে আচড় দিবে, একাত্তর অস্বীকার করবে,যারা দুই হাজার চব্বিশ ভুলে যাবে তাদের উপর বার বার রক্তের বন্যা বইবে।হয়তো আমি তখন এই দুনিয়ায় থাকবোনা।
আশ্চর্য হইয়া লাভ নাই।আজ যা সঠিক ভাবি, কাল দেখি গলদ।পুরাই সত্য মিথ্যায় কনফিউজড।উদ্দেশ্য-বিধেয়তে কনফিউজড। কে কি পারপাস সার্ভ করছে বুঝা মুশকিল। ছাত্র জনতা জীবন দেয়,রক্ত ঝরায়,বুক পেতে গুলি খায় আর ওরা রাজনীতি করে।শহীদের রক্তের বদলা কঠিন, শুধু সময়ের ব্যাপার।

 


এ জাতীয় আরো খবর