শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৫

দি লু রো কি বা

  • একমুঠো অধিকার (উৎসর্গ-সকল বীর শহীদদের প্রতি)
  • ২০২৪-০৯-০৬ ১৭:১৮:৩১

টুইনের এক অকুতোভয় বীর মুগ্ধ জয়ের চিহ্ন রেখে গেলে
সতেরো কোটি বাঙালির হৃদয়ে !
এক ‘প্লেসেন্টা’ থেকেই ওদের জন্ম,
যার গেছে নাড়ী ছেঁড়া ধন
সেই মায়ের নোনাজলের কি আর্তি,
আহা ! কি শোকের মুর্ছনা !

প্রতিটি মুহূর্ত বাংলাদেশের ইথারে ইথারে
মুগ্ধ এক সাহসী উচ্চারণ।
ষোড়শী সুমির মনের অব্যক্ত স্বপ্ন দেখা 
অকালেই ঝরে গেলো !
ওদের আকাশে উড়বে না আর ঘুড়ি,
হবে না ঘুড়ির উৎসব।

কষ্টের ঘামে অর্জিত টিউশনির টাকা 
সাঈদ পাঠাবে না আর বিকাশে
আর কখনোই না !
মুগ্ধের জীবনে কোনো ঈদ আসবে না !
ঈদগাহে দুইভাই এক সাথে এক রঙের 
পাঞ্জাবি পড়বে না আর,
হবে না আর আতরমাখা গন্ধের কোলাকুলি !

ফাইরাজ তুমি এখন শহীদরে বাপ। মোহাম্মদপুর 
কলেজ গেটে স্বমহিমায় তারুণ্যের প্রতীক ! 
 
হেলিকপ্টার থেকে বর্ষণের গুলিতে
আর যেন মাটিতে লুটিয়ে না পড়ে কোন শিশু !
‘ক্যাটারাক্ট’ চোখে ফুটেজগুলো ঝাপসা দেখি,
তোমাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি এখন ট্রমায় ! 
আমার এখন নির্ঘুম রাত কাটে
কারফিউর নির্জন রাস্তা থাকে ভেসে আসা
কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে আতঙ্কিত হই
আহা ! এই আমার দেশ !
তোমরা ছিলে আমারই সন্তান 
পৌত্র বা প্রপৌত্র।
আমার ভাষা ও তোমাদের ভাষা এক
সংস্কৃতি, ভুখন্ড, পতাকাও এক।
তোমাদের স্মৃতিতে নেই ঊনষত্তর বা একাত্তর
আমরা যার ধারক।
তোমরা সৃষ্টি করেছো দু’হাজার চব্বিশের
গৌরবোজ্জ্বজল ইতিহাস। 

সাঈদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ পাঁজরের সীমানা পেড়িয়ে ছড়িয়ে গেছে 
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল ভূখন্ডের
সবুজে জমিনে
বহমান শোণিতের রক্তে ভেজা বাংলাদেশ !

ইতিহাস ঘাটতে ঘাটতে বুক চিতিয়ে দিয়ে
বুলেট বিদ্ধ একেকজন আশ্রয় নিলে
স্মৃতির পাতায় আমরণ অনশনের বীর।
বাংলার ভালে গৌরবের চিহ্ন এঁকে দিয়ে গেলে !
তোমরা আদায় করে দিয়ে গেলে 
এক মুঠো অধিকার !
অপরাধ করোনি বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কারের সম অধিকার চেয়ে।
তোমাদের বুলেটবিদ্ধ রক্তাক্ত বুকে
রাজ পথে মিছিলে ও দীপ্ত স্লোগানে
অজেয় প্রত্যয়ের নির্ভিক সৈনিক তোমরা 
এনে দিলে একটি বৈষম্য মুক্ত নতুন বাংলা।
আগামীর বাংলা হবে 
একটি অসাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ 
নবচেতনায় উদ্বুদ্ধ তারুণ্যের বাংলাদেশ !

তোমাদের জীবন নাট্যমঞ্চ এখনও বিষাদময় 
ঘন কুয়াশায় ঢাকা শুভ্রতার কাফনে•••।


এ জাতীয় আরো খবর