এমনি এক দিনে,
এই পৃথিবীতে এসেছি আমি হতদরিদ্র এক ঘরে।
মা আমার মুখে দিতে পারেনি এক ফোঁটা মধু,
বুক ভরা দোয়া দিয়েছে শুধু,
’’সন্তান যেনো মোর জগৎ আলোকিত করে।’’
ক্ষুধা-দারিদ্রে, অবহেলা-বঞ্চনায় শুরু হলো মোর পথ চলা,
রাখালের সাথে মাঠে মাঠে ঘুরে,
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন বুকে লালন করে।
পাথারের ধুলা, শৈশবের খেলা, সবি করলাম হেলা
কৈশোরের বাহুল্য,
তারুণ্যের প্রেম সবি ফেলে আসা বড় হওয়ার তরে।
মাঠে মাঠে গরু চড়ানোর কালে কবিতা লেখা হলো শুরু,
আমার লেখার কাঁচামাল হলো
রাখাল বন্ধু, সবুজ মাঠ আর চড়ে বেড়ানো গরু।
কবিতার ছন্দ স্থান করে নিলো কাগুজে পাতায়
দৈনিক তিস্তা, জনমত, উত্তর বাংলায়,
আমার কাব্য চর্চা হলো শুরু।
জীবিকার প্রয়োজনে জীবনের পাশাপাশি
শুরু হলো প্রযুক্তির পড়া বিদ্যা প্রকৌশল,
যদি হয় চাকুরী মা-বাবার জীবনেও সুখ হবে শুরু।
সামান্য বিদ্যা নিয়ে পড়ার পাঠ শেষে হলো এক চাকুরী,
লুঙ্গি পরে মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়ানো রাখাল আমি
এবার অফিসারি হলো শুরু।
সেদিনের রাখাল অফিসার হলো,
মাঠের কবিতার জোরে আমি হলাম কবি,
এ ছিল আমার শৈশব হৃদয়ে আঁকা ছবি।
আজকের ইঞ্জিনিয়ার, আজকের কবি
চাওয়া-পাওয়ার খাতায় তবু আজও অনেক বাকি,
বাকি রয়ে গেল আমার হৃদয়ে আঁকা আরো কত ছবি।
জানি না তো আমি আয়ু শেষ কবে
প্রকৃতি আমায় না যেনো দেয় ফাঁকি,
দেনা-পাওনাগুলো যেনো পূরণ হয় সবি।
আমায় পেয়ে আমার স্বজন, আমার বন্ধুগণ
সবাই মনে হয় ঢের বেশ খুশি,
আমার কবিতা, আমার গল্প দিয়ে যাবো তাদেরই সবি।
পৃথিবীতে এসে তোমাদের পেয়ে
ধন্য আমি, অনেক খুশি আমি
আমি যেনো পেয়েছি ঢের বেশি।
এই জন্মদিনের শুভেচ্ছা সিক্ত করেছে আমার হৃদয়,
আবার যদি কভু দেখা হয়
তবে পাওয়া হবে খুব বেশি।
যদি শোনো আমি নেই
মনে মনে বলো একবার,
’’কবি শুভ জন্মদিন’’
’’কবি তোমায় ভালোবাসি।’’