দখিনের জানালাটা খুলতেই চোখে পড়ে প্রমত্তা পদ্মা ,
তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে রাধাচূড়া আর কৃষ্ণচূড়া---
সেই কবে থেকে বলতে পারি না।
গ্রীষ্মের শেষে লাল হলুদে আলো করে থাকে পদ্মার পাড়,
বিকেল হতে না হতেই মুখরিত জনতার ভিড়।
ছবি তোলার হিড়িক পড়ে, সেলফি তুলতে ব্যস্ত প্রেমিক-প্রেমিকা।
শিশুরা ঝরা ফুলের মালা গাঁথে
তরুণীরা গলায় পরে, কেউ আবার খোঁপায় জড়ায়।
সবুজ পাতার আড়ালে পাখির বাচ্চাগুলো কিচিরমিচির করে
আর শাখায় শাখায় বসে দোল খায়।
কদিন থেকে আষাঢ়ের অবিরাম ধারা --
বাইরে বেরুবার উপায় নেই,
চরিদিক জনশূন্য, দেখি ফুলগুলো নুইয়ে পড়েছে।
দুটো গাছই উপরে গেছে --
রাধাচূড়ার উপর পড়ে আছে কৃষ্ণচূড়াটা।
এত বৃষ্টিতেও সবুজ পাতাগুলো হলুদ,
কোনো কোনো ডালের পাতা ঝরে গেছে ডাঁটাগুলো দাঁড়িয়ে আছে বিষণ্ন মুখে।
কেউ আবার গরুছাগলের জন্য ডালপাতা ভেঙে নিচ্ছে।
মনে মনে বলি তোমরা এখন মূল্যহীন হয়তো গল্পছলে
কদিন তোমাদের মনে রাখবে --- তারপর !
কেটেকুটে জায়গাটা ফাঁকা করে দিবে।
মানুষের জীবনও এমনি -- কেউ কারো নয়
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি আর ভাবছি --
একেই বুঝি বলে সহমরণ।