গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য আজ রবিবার ৩০/০৬/২০২৪ ইং সকাল দশটায় জোটের অস্থায়ী কার্যালয় সেগুনবাগিচা ঢাকায় মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড হারুন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল)। উপস্থিত ছিলেন কমরেড ডাঃ সামছুল আলম সাধারণ সম্পাদক সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, আবুল কালাম আজাদ আহবায়ক সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও হারুন আল রশিদ খান মহাসচিব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)।
সভায় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২১-২২ শে জুন শেখ হাসিনা ভারত সফরে নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দশটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন। যা দেশের জনগণ জানে না। তবে বাচাল মন্ত্রীদের বক্তব্যে যতটুকু জানা গেছে তাতে বুঝা যায় বিগত ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনে ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিদান দিতেই এই সমঝোতা স্মারক। এই সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশ শুধু দিবে ভারত শুধু নিবে, বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষিত। বিশ্বের সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মাঝে নানা চুক্তি আছে সেখানে উভয় রাষ্ট্র মর্যাদার সাথে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে চুক্তিবদ্ধ হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তের তিন দিকে ঘিরে থাকা বিশাল প্রতিবেশী ভারতের সাথে অভিন্ন নদীর পানি, বানিজ্য বৈষম্য, সীমান্ত হত্যা সহ বহু বিষয় সংকট বছরের পর বছর জিইয়ে আছে, যার একটারও সুরাহা হয় নাই। সেই সব বিষয়ে এই সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ নাই। বরঞ্চ ভারত থেকে ভারতে বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে রেলপথ পরীক্ষামূলক চালানোর বিষয় এসেছে। যেখানে বাংলাদেশের কোন রকম স্বার্থ নাই। ভারতের কেন্দ্রের সাথে সাতটি রাজ্যের বানিজ্যিক সামরিক নিরাপত্তা প্রতিরক্ষা যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সহজ করবে।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য মনে করে এতে সংঘাতপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক নানা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পরবে। জনবিচ্ছিন্ন কতৃত্ববাদী নতজানু স্বৈরাচারী সরকার জনস্বার্থ কে উপেক্ষা করে ক্ষমতাকে আঁকড়ে থাকার জন্য দেশ বিরোধী যে সমঝোতা করুক শেষ রক্ষা হবে না। ফারাক্কা বাঁধ একবার পরীক্ষামূলক চালুর পর কি ভয়াবহ অবস্থা তৈরী হয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছে। নতুন করে বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে ভারত থেকে ভারতে রেলপথ চালু করার পরীক্ষা জনগণ হতে দেবে না।
প্রশাসনে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মাফিয়া সিন্ডিকেটের কাছে জনগণকে জিম্মি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া নির্বাচন ব্যবস্থা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস সহ সকল সংকটের মূল কতৃত্ববাদী স্বৈরাচার। দেশ রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে রাজপথে আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তা না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপামর জনগণ স্বেচ্ছায় রাজপথে নেমে এসে রুখে দাঁড়াবে, পালাবার পথ পাবেন না।