চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানীর অন্যতম রুট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পথে গত বৃহস্পতিবার(৯মে) থেকে আবারও প্রবেশ করছে ভারতীয় পেঁয়াজ। বন্দর সূত্রগুলো জানায়, গত বৃহস্পতিবার(৯মে) থেকে মঙ্গলবার (১৪মে) পর্যন্ত বন্দরে টানা ৫দিনে(সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ১০ মে ব্যাতীত) ৩৫ট ট্রাকে ৯৯৬ টন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। এর আগে গত ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর এ পথে সর্বশেষ আমদানীর পর আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। গত ৯মে আমদানী শুরুর পর ওইদিন গত বৃহস্পতিবার ৩ ট্রাকে ৮৫ মে.টন, গত শনিবার(১১মে) ৬ ট্রাকে ১৬৮টন,গত রবিবার(১২মে) ৬ট্রাকে ১৭৩ টন, সোমবার(১৩মে) ১৫ ট্রাকে ৪৩০ টন ও মঙ্গলবার (১৪মে) ৫ ট্রাকে ১৪০পেঁয়াজ এসেছে। এসব পেঁয়াজ এনেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজ, নুর এন্টারপ্রাইজ সহ কয়েকটি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান।
সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা- সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে পেঁয়াজ প্রবেশ আবারও কতদিন চলবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য জানাতে পারেন নি তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কামাল খান বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোন নিশ্চিত তথ্য কোন দায়িত্বশীল মহল থেকে জানানো হয় নি।
এদিকে সোনামসজিদের অন্যতম বৃহৎ ও নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানীকারক চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স নিশান ফুড প্রোডাক্টস স্বত্বাধিকারী মাসুদ হোসেন বলেন, পেঁয়াজের ভারতীয় রপ্তানীকারকদের ভারত সরকার নির্ধারিত অন্তত; ৫৫০ ডলার টনপ্রতি এলসির সাথে ৪০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হ্েচ্ছ। এদিকে আমদানীকারকদের প্রতিটনে প্রায় ৭টাকা খরচ হয়। এসব মিলিয়ে বর্তমানে বন্দরে গড়ে ৬০ ও স্থানীয় বাজারে গড়ে ৬৫ টাকা দরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশী ভাল পেঁয়াজের সমান দর হবার ফলে বাজারে ভারতীয় মালের চাহিদা কম। ফলে আমদানীকরকদের আমদানীতে আগ্রহ কম। এখন দেশী পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি পেলে ভারতের মালের চাহিদা বাড়বে।