কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর সাহায্যে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর গুলশান দুই নম্বর গোল চত্বরে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু লাল, হলুদ বা সবুজ বাতি জ্বলছে নাকি জ্বলছে না, তার তোয়াক্কা করছেন না চালকেরা। বাধ্য হয়ে ট্রাফিক পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেন, দেশের বাস্তবতা বুঝে নিতে হবে। যেন কার্যকর হয়, নিতে হবে সেই উদ্যোগও।
রাজধানীর গুলশান দুই নম্বর চত্বর। কাগজে-কলমে এই সিগন্যালই নগরীর সবচেয়ে আধুনিক। আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। জটলা দেখলেই জ্বলে লাল, হলুদ, সবুজবাতি। বসানো আছে সিসি ক্যামেরা।
কিন্তু গিগন্যালটিতে স্বয়ংক্রিয় আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হলেও বাস্তব চিত্র সেই চিরাচরিত। নিয়ন রীতির তোয়াক্কা করছে না কেউ। ট্রাফিক পুলিশ রীতিমতো অসহায়।
নতুন এই প্রযুক্তি চালু করার পর প্রথম মাসেই আইন ভাঙে তিন হাজার যানবাহন। এরপর কী হয়েছে সেই তথ্য নেই সিটি করপোরেশনের কাছে।
পালাক্রমে উত্তর সিটির ১৭টি পয়েন্টে এই ডিজিটাল সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল নগর কর্তৃপক্ষ। তবে, প্রথমটির দুরাবস্থা দেখে ভিন্ন কিছু ভাবছে সিটি করপোরেশন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে লেনভিত্তিক চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
গত একযুগে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের নামে ব্যয় করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। তাই দেশের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।