Women's reliability is under scrutiny!
ফেসবুকের reels নামক যে একটা অপশন রয়েছে এটাকে reels না বলে প্রকাশ্যে স্ট্রিপিং এর স্টেডিয়ামও বলা যেতে পারে। যেখানে নিকৃষ্টভাবে নিজেদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রদর্শনে এক মহোৎসবে মেতে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে।
একজন মেয়ের যেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাপড়ে আবৃত থাকার কথা সেটা অনাবৃত করে বিভিন্ন কলাকৌশলে উন্মুক্তভাবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করাই যেন একটা পেশা বা নেশা হয়ে গেছে। পোশাক অনাবৃতেরও তো একটা অধ্যায় থাকে। যেখান থেকে আরো অনাবৃত হলে আর পোশাক পরার কোনো অর্থই দাঁড়ায় না। শুধু অনাবৃত হওয়াই তো নয়, যেভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো প্রকাশ্যে নির্লজ্জভাবে কামো*দ্দীপক পর্যায়ে নিয়ে প্রদর্শন করছে তাতে পৃথিবীতে নারী জাতির ব্যক্তিগত গোপনতা বলে কিছু অবশিষ্ট আছে বলে মনে হচ্ছে না। আমার কথা হলো এই মেয়েগুলোর পরিবারগুলোও কী এগুলো দেখে আনন্দ পাচ্ছে? বা তারা কী আদৌ জানে তাদের মেয়েরা বীভৎস এক ন*গ্নতার খেলায় নেশাগ্রস্ত হয়ে গেছে?
ফেসবুক এখন reels এ পে করে। তবে reels এর ইনকাম হয় খুবই কম। মানে মিলিয়ন মিলিনয় ভিউ হলে হয়তো কয়েক ডলার হতে পারে। হোক না হয় $5 USD কয়েক মিলিয়ন ভিউয়ের কৃপায়। তাই বলে নিজেদের লজ্জা-শরমকে এভাবে বিশ্বের খোলা বাজারে দাড়িপাল্লায় মেপে বিক্রি করতে হবে?
তারা কেনো এটা বুঝতে পারছে না কোনো কিছুরই অর্থ থাকবে না একটা টাইমে।
ভারতের মুকেশ আম্বানির যে পরিমাণ টাকা আছে তাতে আস্ত একটা একটা দেশ কিনে বসতে পারেন অনায়াসে। তাতে কী! তার ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির যে অসুখে শারীরিক কাঠিমো অস্বাভাবিক হয়ে গেছে তা ঠিক করতে টাকাতে কাজ হচ্ছে না। বরং সে আছে অনেকটাই ঝুঁকিতে।
এদিকে ব্রিটেনের রাজপরিবারে বড়ো পুত্র বধূ Kate Middleton এর মরণ ব্যাধি ক্যা*ন্সার ধরা পড়েছে। সেই তো হতো ভবিষ্যতের রাণী। কিন্তু এখন সেটার আশা কি আর জীবিত রয়েছে? চিন্তা শোধু একটা কীভাবে একটু সুস্থ থাকা যায়।
সুতরাং এখন যারা ফেসবুকের reels এর এক মিনিটের ডিউরেশনে জীবনের সব সভ্যতাকে নিলামে তুলে দিয়েছে তাদেরও তো কোনো না কোনো পর্যায়ে গিয়ে হোঁচট খেতে হবে। নারীদের ন*গ্নতা কোনো মুসলিম বিচার করে নয়, একজন নারী হিসেবেই যে কোনো ধর্মের, জাতি-গোষ্ঠীর নূন্যতম সভ্যতায় বেষ্টিত হওয়া আবশ্যক।
আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।
টরন্টো, কানাডা।