পাটাতনে শুয়ে আছে কাঠ
কাঠ চেরাইয়ের শব্দ, তোমাদের বাগানবাড়ি।
আমার বুকের ভেতর লোহার করাত দাঁত
কাঠের শরীর ফালিফালি।
তুমি ঘরের ভেতর গোসল করো, পাশ ফিরে শোও
আমার ঘুমের ভেতর কাঠের গুঁড়া, স্বপ্নের বিষয়
তোমাদের বাগান বাড়ি।
কাঠ চেরাইয়ের শব্দ, কাঠ,কাঠ,ফালিফালি।
পাখিরাত
মধ্যরাতে চুপিচুপি তার চুলের সুর তুলে দেখি
উড়ে এসেছে হাজার পাখি
খাঁচায় ধরা দেয়া পাখি আর ঘাসেদের সেই ঘনরাত।
এমনি তাকে লোহার সিন্দুকে ভরে দিয়েছিলেন অবিশ্বাসী পিতা
দুটো শস্যদানা নারকেলের খোলে
দেহের উত্তাপে ক্ষুণ্ণ মিটিয়েছি।
শিয়রে মোমবাতি জ্বলে
আমরা জ্বলি দেহের আগুনে
আগুন আগুন খেলা অর্ধরাত।
তারপর মধ্যরাতে দিঘির মতো সে চুপচাপ।
আমি সংগোপনে যেন পাখি প্রিয়
বাঁশি প্রিয় মাঠের রাখাল
হাওয়া এনেছে বয়ে কি যে হাহাকার
মায়ের স্মৃতি মনে রেখে
তার চুলে সেই চক্ষু করেছি গোপন
অমনি খুব মৃদু পায়ে সুর এলো
চুলের ভেতর কণ্ঠে তুলে নিল গান
উড়ে এলো হাজার পাখি, আহা উড়ে যাওয়া পাখি।