যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি দম্পতি। শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন হাফিজ আহমেদ এঞ্জেল ও সাথী আহমেদ দম্পতি।
নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে বিনহ্যাম্পটন থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পরিবারটি। নিউইয়র্কের অরেঞ্জ কাউন্টিতে পুলিশ দ্রুতগামী একজন গাড়ি চোরকে ফলো করছিল হাইয়েস্ট স্পিডে । এ সময় হাফিজ দম্পতির গাড়ির সঙ্গে দ্রুতগামী চুরি করা গাড়ির সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই দম্পতি নিহত হন। এ ঘটনায় তাদের একমাত্র মেয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানা যায় মেয়েটি অটিস্টিক l ঘটনার সময় নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত তাদের বড় ছেলে কুইন্সের বাড়িতে অবস্থান করছিল l
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দম্পতির পারিবারিক বন্ধু ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার রাতে এঞ্জেল-সাথী দম্পতির ১১ বছরের মেয়ে রাইদাকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়েছিলেন। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী আরেকটি গাড়ি তাদের ধাক্কা দেয়। শিশু রাইদা প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাঞ্জেল (৫৫) ও তার স্ত্রী সাথী (৩৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল নিউইয়র্ক পুলিশ ফোর্সকে পণ্য সরবরাহের ঠিকাদার ছিলেন।
জানা গেছে, ১৯৯১ সালে ডিভি লটারি জিতে অ্যাঞ্জেলের বাবা শামছুল হক মুন্সি আমেরিকায় যান। পরে ১৯৯৬ সালে সপরিবারে আমেরিকায় আসেন। তাদের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুরে l
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় আজ রোববার সকালে নিউইয়র্কে অ্যাঞ্জেল-সাথী দম্পতির দাফনকার্য সম্পন্ন হবে ।
পরিবারটির সঙ্গে আমার স্বল্প পরিচয় ছিল l কোন এক গেট টুগেদারে এঞ্জেল ভাইয়ের মিউজিক সিস্টেম পরিচালনায় সাথী ভাবীকে গান গাইতে দেখেছিলাম l পরিবারটি সম্প্রতি বিনহ্যাম্পটনে বসবাসের উদ্দেশ্যে নতুন বাড়ি ক্রয় করেছিলেন এবং ঘটনার দিন বিনহ্যাম্পটন থেকে কুইন্সে ফেরার পথে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনার শিকার হন l
এমন অপমৃত্যুতে অত্যন্ত ভারাক্রান্তবোধ করছি l দম্পতির আত্মার শান্তি কামনা করছি l