ভালো থাকার সব টুকু তুমি নিয়ে গেছো
রেখে গেছো শুধু দগ্ধতা আর যন্ত্রণা
মনের বাগানে কলিরা গিয়েছে ঝিমিয়ে
কতদিন তারা ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত
সোনালি আলোর গন্ধ পাই না আর
চারিপাশ দেখি নিরেট অন্ধকার
ফুলে ফলে ভরা উঠানের সেই গাছটা
একাকী দাঁড়িয়ে আজও দিন গোনে
পাখিরা আসে না শব্দ করে না আর
বসন্তে আর কোকিল ডাকে না কুহু
জ্যোৎস্নায় আর সিগ্ধতা পাই না
রুক্ষ্ম জীবন রুক্ষ্ম মাটির মতো।
রাখালের গরু ছুটে এসে ঢোকে গোয়ালে
ঈষাণ কোণে জমেছে অনেক মেঘ
রুহুল চাচা প্রাণপনে ছুটে যায়
নদীর পারে বাঁধা ছাগলছানা
এখনও আছে কি নাই নাই কো জানা।
আমি একাকী উঠানের মাঝে দাঁড়িয়ে
চারপাশে দেখি বুনো জংলার ঝার
জানান দিচ্ছে ফুরিয়ে আসার সময়
চাঁদটাও ধীরে ধীরে মেঘের আড়ালে যায়
আমি দেখি আমার সম্মুখে গভীর অন্ধকার।