আজ রাতটা এতটাই উগ্রভাবে সেজেছে
যেন তাকে রাজধানীর ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা
ভাসমান মেয়েমানুষের মতো মনে হচ্ছে।
দু'চোখের তারায় নিয়ন হাসির ঝিলিক,
এক অদৃশ্য ইশারায় যেন ডাকছে আমাকে।
নটী চাঁদ এসেছে রাতের কপালে চন্দ্রমুখী হয়ে
জোছনার চাদর জড়িয়ে রয়েছে তার গায়,
খোঁপায় কৃষ্ণচূড়া আর কানে স্বর্ণ লতিকা
আর একটু দূরে ক্ষীণস্রোতা নদী কুলকুল বয়ে যায়।
এমনি এক মায়াবী রাতে সুর তুলেছিলাম বাঁশিতে
তুমি ছুটে এলে আলুথালু ভ্রষ্টা রাতের মতো
তুমি ছুটে এলে আকাশের খসে পড়া উল্কাপিণ্ডের মতো।
আমি তখনো একটানা বাজিয়ে চলেছি বাঁশি
তুমি পাগলের মতো মুহূর্তেই আমার চোখমুখ, ঠোঁট ও কপালে
এঁকে দিলে লিপস্টিকের কালচে রঙ ----
অথচ আমি তোমাকে ততটা ভালোবাসিনি
তুমিও হয়তো ঠিক ততটা কাছে আসোনি,
আমি শুধু বাঁশিটা ধরে তাকিয়েছিলাম
তুমিও চেয়ে দেখছিলে, যেমন করে রাতের আকাশ আমাকে দেখে।
তারপর নিশাচর হলাম
প্রতিরাতে বাঁশি বাজাতে শুরু করলাম, না তুমি আসোনি ----
বাঁশি ক্রমাগত বাজিয়েই চললাম -- তবুও তুমি আসোনি
চীৎকার করে কাঁদলাম -- তুমি আসলে না
দারুণ অভিমানে দরজা রুদ্ধ করে আবার ফিরে আসলাম ---
না তুমি আসলে না।
একবছর পার করলাম --- তুমি আসোনি
একটা জীবন পার করলাম --- তবুও তুমি আসোনি।
আজ এই মায়াবী রাতে তোমার কথা মনে হতেই
এই আকুল জোছনায় আমি ক্রমাগত দগ্ধ হতে থাকলাম।