শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৫

মো শা হে দ চৌ ধু রী

  • শীতার্তের অনুভব
  • ২০২৪-০১-১৯ ২১:০৪:৪৭


এবার শীতটা একটু বেশিই পড়েছে মনে হয়,
কনকনে হাওয়াটাকে মনে হয় বর্শার ফলা। 
আমরা ছোটবেলায় যখন গ্রামে ছিলাম
বলতাম ---- হাড়কাঁপানো শীত
এখন সেই শীতকে কী বলে ঠিক জানি না। 

তবে অনেক অনেক টাকা আছে যার অর্থাৎ যাদের আমরা বড়োলোক বলি, 
এ' তীব্র শীতেও তাদের হাড় কাঁপে না।
যেহেতু শীতে না কাঁপার অনেক উপায় তাদের টাকায় কেনা, 
শীত কিংবা গরম কোনোটাই অনুভূত হয় না।

তবে আমিও একটা কাজ করেছি।
একটা ফুল সোয়েটার কিনে ফেলেছি ফুটপাত থেকে। 
এই সোয়েটার পরা আমাকেও আজ শীতে কাবু করে ফেলেছে।

আজকাল নতুন এক ফ্যাশন আবিষ্কার হয়েছে,
গরীবের জন্য  ঘটা করে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। 
এটা যদিও নিজের প্রচারের জন্য হয় তবু নিঃস্বরা কিছু তো পায়। 
এ' রকম ঘটা করে মাঝে মাঝে কিছু খাদ্যসামগ্রীও দেয়া হয়। 
প্রচারের জন্য বিলি করা কম্বলটা নিয়ে
এক দরিদ্র বৃদ্ধ এখন স্বর্গীয় ঘুমে নিমগ্ন আছে।

কিন্তু যে কুকুরটি রাস্তার পাশে শুয়ে কাঁপছে 
যে বেড়ালটি দারুণ কষ্টে মিউ মিউ চিৎকার করছে।
যে পাখিটি চুপ মেরে বসে আছে ডালে কুয়াশায় ভিজে, 
সে গান গাওয়া ভুলে গেছে। 

এমনি অসংখ্য প্রাণীকুল
তারা হয়তো নিজের আহারও যোগাড় করতে পারেনি।
তারা কেমন আছে ? 
আমি তো তাদের ভাষাও বুঝতে পারি না। 
তাদের কথা আগেও ভেবেছি কিন্তু এমন করে হৃদয়ে নাড়া দেয়নি। 

কুয়াশায় ভিজে যাওয়া সোয়েটার গায়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজ
কনকনে বাতাসের মাঝেও শীতের কথা বেমালুম ভুলে গেলাম।
এখন আর শীতে কাঁপছি না এতটুকুও। 


এ জাতীয় আরো খবর